নদিয়া: হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় হুগলি থেকে গ্রেফতার (Arrest) বাবা ও ছেলে। ধৃত সেখ গিয়াসউদ্দিন বিশ্বাস ও তার ছেলে শাহীন বিশ্বাসকে শনিবার হুগলির গ্রামীণ পুলিশের পান্ডুয়া থানা বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর অভিযুক্তদের হাঁসখালি (Hanskhali) থানার পুলিশের (Police) হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ এপ্রিল সকালে হাঁসখালি থানার বড়চুপড়ির বাসিন্দা আমোদ আলি বিশ্বাস ছোট চুপড়িয়া বাজারে বাজার করতে যান। সেখানে মোটর বাইকে করে দুই ব্যক্তি এসে তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপরেই তারা আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি গুলিবিদ্ধকে উদ্ধার করে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। এই ঘটনায় চায়ের দোকানের মালিক আব্দুল খালেক মন্ডলকে পরদিন নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে ওই খুনের সঙ্গে জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এমনকি তাদের খোঁজে ভিন রাজ্যেও যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bibhas Adhikary | দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ বোলপুরের বিভাসকে
পুলিশ জানিয়ছে, অভিযুক্তরা দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল, তারা বৈঁচিতে তাদেরই কোনও এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে ছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পান্ডুয়া থানার ওসি অর্ণব গাঙ্গুলী তাঁর দল নিয়ে শুক্রবার বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। তারপর ধৃতদের হাঁসখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে খোলা বাজারের মধ্যে চায়ের দোকানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে। পুলিশ এখন পর্যন্ত তিন জনকে গেফতার করেছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সুত্রের খবর।
নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও খুন, বোমাবাজি, অস্ত্র মজুত রাখার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে।