নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে (Nandigram) দুটি যাত্রীবাহী বাস (Bus) ও একটি যাত্রী বোঝাই ট্রেকারের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। গুরুতর আহত প্রায় কুড়িজন। বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রাম- চন্ডীপুর (Nandigram Chandipur) রাজ্য সড়কের ঠাকুরচকের (Thakurchalk) কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ট্রেকারের চালক ও এক যাত্রীর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যাত্রীর নাম সৌমদ্বীপ জানা (Soumyadwip Jana))(১৮)। বাড়ি নন্দীগ্রামের হরিপুরে (Haripur)। মৃত ট্রেকার চালকের নাম সঞ্জয় বাগ। তাঁর বাড়ি চণ্ডীপুর। আহতদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেখানকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে একজনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। অন্য দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেকার ও যাত্রীবাহী বাস দ্রুত গতিতে আসার সময় প্রথমে ট্রেকারের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লাগে ও পরে পিছনে থাকা যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও ট্রেকারটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাপতি সেখ সুফিয়ান, তমলুকের বিধায়ক সৌমেনকুমার মহাপাত্র।
আরও পড়ুন: BJP CPM Meeting | সবংয়ে বিজেপি সিপিএমের বৈঠক, মেঘালয় থেকে সরব মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া
নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।