জোশিমঠ: জোশিমঠের (Joshimath) পরিস্থিতি নিয়ে ‘দিল্লিওয়ালা’দের বিরুদ্ধে আগ্নেয়গিরি ফাটালেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী (Uma Bharti)। যাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল সকাল চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উমা বলেন, জোশিমঠ অনেক ঝড়ঝাপটা দেখেছে। এবারেও তা কাটিয়ে উঠবে মুনিঋষির মতো মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং হিমালয়ের বর পাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে। এই অবস্থায় উমা ভারতী কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, দায় চাপানোর সময় এটা নয়। তাঁর এদিনের বক্তব্যকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে নানান গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।
উমা বলেন, অনেক বছর আগেই তিনি অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, বিকাশ ও বিনাশ হাত ধরাধরি করে চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে বসে যাঁরা নীতি প্রণয়ন করেন, তাঁরা একদিন হিমালয় এবং উত্তরাখণ্ডকে একদিন গিলে খেয়ে নেবেন।
বিজেপির নাম না করে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় উমা ভারতী বলেন, নীতি রূপায়করা এই ধরনের প্রকল্পকে চটজলদি শেষ করার কথা ভাবেন। গাছের সবথেকে নিচু ডালের ফলটির মতো টুক করে পেড়ে খেয়ে ফেলার মতো ভাবেন। আমার ভয় হয় এইসব নীতি রূপায়কদের নিয়ে। দেখা যাবে হয়তো কোনওদিন এঁরাই উত্তরাখণ্ডকে খেয়ে ফেলবেন।
আরও পড়ুন: Joshimath Sinking: গভীর রাতে পাহাড় খোঁড়া চলল জোশিমঠে, বাড়ি ভাঙার কাজে বাদ সাধল বৃষ্টি
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা আরও বলেন, বিকাশ ও বিনাশ হাত ধরাধরি করে চলতে পারে না। উমা ভারতীর কথায়, দিল্লিওয়ালারা হিমালয় ও গঙ্গাকে হাতের মোয়া মনে করেন। যা ইচ্ছা তাই চলছে হিমালয়, গঙ্গাকে নিয়ে। এর ফল তো ভুগতেই হবে। তাঁর দাবি, ২০১৭ সালে এনটিপিসির প্রকল্পের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সেই সময় রেনিগাঁওয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তখনই আমি বলেছিলাম, জোশিমঠেও একদিন এরকম ঘটনা ঘটবে। এর জবাবে আমাকে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তারা নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর। তার পরেও একটি নতুন বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছিল। তারা প্রকল্প চালিয়ে যেতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল, ততক্ষণে অবশ্য ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।