মালদহ: বছর ছয়েক আগে উড়ে গিয়েছে টিনের ছাউনি। তাই হাঁ করে আছে। ফেটেছে মেঝে, দেওয়ালও। খোলা আকাশের নীচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই রান্না করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের খাদ্য। শয়ে শয়ে শিশুদের খাবার তৈরি হচ্ছে সেখানে। শুধু অস্বাস্থ্যকর নয়। বিপজ্জনকও। ঘরের অবস্থা দেখে মায়েরা শিশুদের পাঠান না ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে (ICDS Centre)। ফলে মায়েরাই এসে শিশুদের খাবার নিয়ে যান। এলাকার মানুষের দাবি, ব্লক প্রশাসন, সিডিপিওকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সিডিপিও (CDPO) মৌখিকভাবে আশ্বাস দিলেও তিনিও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কবে এই সেন্টার সংস্কার হবে।
খোলা চত্বরে রান্না করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে আইসিডিএস হেল্পারকে (ICDS Helper) । বিশেষ করে বৃষ্টি পড়লে সব লাটে ওঠে। বর্ষার সময় রান্না হয় না। বন্ধ থাকে সেন্টার। গাছের পাতা, পাখিদের বর্জ্য পড়ে থাকে ঘরের ভিতরে। এমনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই রান্না হচ্ছে। ঘটনাটি মালদহের গাজোল ব্লকের বোমকা আইসিডিএস কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: Usthi Incident: শ্বাসরোধ করে খুন করে ধান জমিতে শিশুকে পুঁতে দিল বাবা
আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী মনিকা ভৌমিক তরফদার জানিয়েছেন, বছর ছয়েক আগে ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে আইসিডিএস কেন্দ্রটি। বিষয়টি সিডিপিওর কাছে আবেদন জানানো হলেও এখনও ঘর মেরামত করা হয়নি। আইসিডিএস কেন্দ্রে শিশুরা আসে না। মায়েরা এসে খাবার নিয়ে যায়। সমস্যার কথাটি স্বীকার করে নেন সিডিপিও (CDPO) খোকন বৈদ্য (khokon Baidya)। তিনি জানান, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘর মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলেই কাজ শুরু হবে। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিডিএস কেন্দ্রটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে।