নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Vice President and Rajya Sabha chairman Jagdeep Dhankhar) তাঁর দফতরের ৮ আধিকারিককে ১২টি স্ট্যান্ডিং কমিটি (Standing Committees) এবং ৮টি দফতর-সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নিয়োগ করেছেন। যা নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে বিরোধী শিবিরে। অভিযোগ, বিধি ভেঙে নিজের দফতরের আধিকারিকদের রাজ্যসভার হাউস কমিটিতে মনোনীত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় পদাধিকারবলে সংসদের উচ্চকক্ষ বা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ জন পদস্থ কর্মীকে তিনি হাউস কমিটির সদস্যপদ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Bonny Sengupta ED Summoned: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডি তলব করল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে
লোকসভা ও রাজ্যসভার নিজস্ব হাউস কমিটি রয়েছে। রয়েছে যৌথ কমিটিও। ক্যান্টিনের খাবারে ভর্তুকির অঙ্ক থেকে অধিবেশন কক্ষের পর্দার রং পর্যন্ত অনেক বিষয়েই তারা আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী। প্রতিরক্ষা থেকে অর্থমন্ত্রক পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের কাজের পর্যালোচনার জন্যও রয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
সাংসদদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিগুলিতে সহায়তাকারী সদস্য হিসাবে রাখা হয় জুনিয়র অফিসারদের। কমিটির কার্যবিবরণী নথিভুক্ত করা এবং সমন্বয় রক্ষাই তাঁদের মূল দায়িত্ব। কমিটির আলোচ্য বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষাও তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সংসদের সচিবালয়ের মাধ্যমে তাঁরা নিযুক্ত হলেও লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার অধ্যক্ষেরও এ ক্ষেত্রে ‘ভূমিকা’ থাকে।
সূত্রের খবর, এইসব কমিটিতে ব্যক্তিগত সহায়কদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন ধনখড়। এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, বিরোধী কংগ্রেস দলের তরফে এই অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের আচরণ এ ক্ষেত্রে বেআইনি না হলেও সংসদীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
যাঁদের কমিটিতে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন, ওএসডি রাজেশ নায়েক, প্রাইভেট সেক্রেটারি (পিএস) সুজিত কুমার, অ্যাডিশনাল প্রাইভেট সেক্রেটারি সঞ্জয় বর্মা, এবং ওএসডি অভ্যুদয় সিং শেখাওয়াত। এছাড়াও ওএসডি অখিল চৌধুরী, দীনেশ ডি, কৌস্তুভ সুধাকর ভালেকর এবং পিএস অদিতি চৌধুরী।
কংগ্রেসের লোকসভা এমপি মণীশ তেওয়ারি টুইটে লিখেছেন, উপরাষ্ট্রপতি কীভাবে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নিজের দফতরের কর্মী নিয়োগ করতে পারেন? প্রাক্তন লোকসভার মহাসচিব পি ডি টি আচারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সংসদীয় কমিটির সংজ্ঞা অনুযায়ী কেবলমাত্র এমপি অথবা রাজ্যসভা কিংবা লোকসভার কর্মীরা এধরনের কাজে সাহায্য করতে পারেন। স্পিকার কিংবা চেয়ারম্যান তাঁদের ব্যক্তিগত সহায়কদের নিয়োগ করতে পারেন, এমন কোনও বিধি নেই, জানান তিনি।