কলকাতা: বিকেল হতেই হঠাৎই কালো মেঘে ঢেকে যায় কলকাতার (Kolkata) আকাশ। তারপর ঝেপে নামল বৃষ্টি (Rain)। সঙ্গে কালবৈশাখীর (Kalvaishakhi) দাপট। কালবৈশাখীর গতিবেগ ছিল প্রতিঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার। উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে যায় এই ঝড়। ঝড় স্থায়ী ছিল ৩ মিনিট। মাঝারি থেকে হালকা হালকা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে জারি হলুদ সতর্কতা ৷
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও শুরু হবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আপাতত দুদিন তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে।যদিও রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলির বর্ষা ভাগ্য এখনই খুলছে না। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। বুধবার অর্থাৎ ১৪ জুন ২০২৩ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে ৷ একই সঙ্গে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঝড়বৃষ্টির বড়সড় সম্ভাবনা থাকছে ৷
আরও পড়ুন: Jagannath Temple History | Pujo | জগন্নাথ মন্দিরের এই রহস্যে মোড়া জায়গাগুলোয় গিয়েছেন?
আজই বাংলায় ঢুকেছে বর্ষা। ৫ দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকল উত্তরবঙ্গে। সেখানকার বেশিরভাগ জেলায় এই বর্ষা ঢুকে গিয়েছে বলে জানালেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এটাও সত্যি, বৃষ্টি নামলেও গরম থেকে এখনও মুক্তি পাচ্ছেন না বঙ্গবাসী। ১৩ জুনের মধ্যে বর্ষা ঢুকলেও মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও গরম কমবে না। বরং তাপপ্রবাহেরই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।