কলকাতা: অনুমতি নেই। তবু ছাত্র ভোট হল। উৎসবের (Festival) মেজাজে। বৃহস্পতিবার ঠান্ডার (Cold Weather) আমেজে জমিয়ে ছাত্র ভোট উপভোগ করলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। ভোট পড়ল প্রায় ৮০ শতাংশ। এক হাজার ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ভোট দিলেন ৭৮৮ জন পড়ুয়া। ভোটের দাবিতে কয়েক দিন আগেই অনশন আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। নিজেদের জয় দাবি করে ২২ ডিসেম্বরই ছাত্র ভোট সম্পন্ন করলেন পড়ুয়ারা (Student)। এদিন বেলা ১০টা থেকে ভোট শুরু হয়। চারটে বর্ষের প্রতিনিধিরা (Representative) এই ভোটে অংশ গ্রহণ করেছেন। কোনও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন অবশ্য এই ভোটে নেই। এমসিডিএসএ (MCDSA) বা মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই অরাজনৈতিক ছাত্র ভোট হল।
এদিন বিকেলে সমাজকর্মী তথা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সুজাত ভদ্র বলেন, ২০ টি পদের জন্য ৩৩ জন প্রার্থী লড়েছে। প্রথম বর্ষে ভোট পড়েছে ২২১ টি, দ্বিতীয় বর্ষে ১৭৮টি, তৃতীয় বর্ষ ২০৪টি ও চতুর্থ বর্ষে ১৮৪টি টি। এই নির্বাচনের বৈধতা নেই বলে মেনে নিয়েছেন সমাজকর্মী সুজাত ভদ্র। তবে তিনি জানিয়েছেন, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করতে পারল না। তখন পড়ুয়ারা নিজেরাই সেই নির্বাচন করলেন। যে ছাত্র সংসদ তৈরি হবে কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত তাকে মান্যতা দেওয়া। পাশাপাশি এখনও যেসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি তাদের কাছেও বার্তা গেল, প্রয়োজনে সরকার যখন নির্বাচন চাইছে না তখন নিজেরাই নির্বাচন করতে সমর্থ পড়ুয়ারা। তাহলে সরকার তথা উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্বাচন করতে ক্ষতি কোথায়?
ছয় বছর পর রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Educational Institute) ছাত্র ভোট হল এদিন। তবে তা হল বেনজিরভাবেই। কারণ, এই ভোটের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা উচ্চশিক্ষা দফতর (Higher Education Department), স্বাস্থ্যভবন (SwasthaBhawan) এই ভোটের অনুমতি দেয়নি। তবে ভোট (Vote) করবার জন্য আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ (Police) সহযোগিতা করেছে। এদিন ফেস্টুন , প্ল্যাকার্ডে ভরে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের (Academic Building) অডিটোরিয়ামে (Auditorium) কড়া নিরাপত্তায় ছাত্র ভোট হয়।
আরও পড়ুন: Lionel Messi: এবার কী আর্জেন্টিনার মুদ্রায় মেসির ছবি!
কিন্তু, এই ভোট বৈধতা না পেলে কী হবে? এক পড়ুয়ার কথায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল ২২ ডিসেম্বর ছাত্র ভোট হবে। তারপর তা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু, আমরা ওই দিনই ভোটের দাবিতে অনড় ছিলাম। আজ ভোট হল। তা না মানা হলে একইভাবে আমরা আন্দোলন করব। তবে এদিন ক্যাম্পাসে (Campus) কলেজ কর্তৃপক্ষকে (College Authority) দেখা যায়নি। এমএসভিপি (MSVP) কলেজে আসেননি। ফলে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। পড়ুয়ারা দাবি করেছেন, তাঁদের এই ভোটের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের রোগী পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না।