বারাসত: এক খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার (Food Supply Agency) এক মহিলা (Woman) কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের (Hospital) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিল। তা না পেয়ে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার মহিলা কর্মীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ বারাসত হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে। বারাসাত থানায় (Barasat PS) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার ওই মহিলা কর্মী। এই ঘটনায় সেখানে চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (Barasat Government Medical College Hospital) ঘটনা।
বারাসাত সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া রোগীর আত্মীয়দের রান্না করা খাবার সরবরাহ করে থাকেন বসিরহাট ফুড সাপ্লাই মহিলা কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (Basirhat Food Supply Mohila Cooperative Society Limited)। মহিলারাই ওই সোসাইটি পরিচালনা করেন। ওই সংস্থার ডিরেক্টর প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসেন রোগীদের খাবার রান্না করার ঘরে। তিনি দেখতে পান বারাসাত হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অভিযুক্ত পরিমল রাহা রান্নাঘরে ঘোরাঘুরি করছেন। এরপরেই ওই মহিলা তাকে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঘটনায় তাদের মধ্যে বচসা হয়। এরপরেই অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার ওই মহিলা কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেখানে উপস্থিত কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার ওই মহিলার পোশাকও ছিঁড়ে দিয়েছে। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার পরিমল রাহার বিরুদ্ধে বারাসাত হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। যদিও অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলো তা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিশ। তবে এই বিষয়ে ওই অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ওই মহিলা দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। ঘুষ চেয়েছিল ওই অভিযুক্ত। তা না দেওয়াতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে তাকে শাস্তি দিক চেয়েছেন।