কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে কর্মচারীরা ধর্মঘটে শামিল। বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বন্ধ সমস্ত কাজ। স্পেশ্যাল পে কমিশন (pay commission) এবং বকেয়া মেটানোর দাবিতে কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। আদালত সূত্রের খবর, গত সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি (Justice JoymalyaBagchi) , বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় (Justice IP Mukherjee ) এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের (Justice Rai Chattopadhyay) সঙ্গে কর্মচারী ইউনিয়নের বৈঠক হয়। পরে বিচারপতিরা সরকারের এক প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠান।
কর্মচারী ইউনিয়নের (workers union) অভিযোগ, ২০২০ সালের পর থেকে তাঁদের স্পেশ্যাল পে কমিশনের টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৩ মাস ধরে বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না। অর্থ সচিব মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেই কারণেই প্রায় ২৩০০ কর্মচারী ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। ইউনিয়নের নেতারা জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের বৈঠক বসবে। সেই বৈঠকে সরকারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, কবের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া এরিয়ার এবং স্পেশ্যাল পে কমিশনের টাকা দেওয়া হবে। না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট কর্মচারীরা। কর্মচারীদের ছটি ইউনিয়ন একটি ফোরাম করে আন্দোলনে নেমেছে।
আরও বড়ুন: ভাষণের শুরুতেই পরোক্ষে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে ধনখড়
ধর্মঘটের ফলে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সমস্ত বিচার প্রক্রিয়াও বন্ধ। মামলাকারীরা তার ফলে সমস্যায় পড়েন। এর আগে ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীরা নানা দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন। সেবার প্রায় দশদিন টানা কর্মবিরতি চলেছিল। ১১ বছর পরে ফের হাইকোর্টের কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে নামলেন। ফোরামের আরও হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না হলে এবারও লাগাতার কর্মবিরতির পথে যেতে পারে তারা।