নয়াদিল্লি: পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা (World Population) এখন ৮০০ কোটি। দিন দু’য়েক আগেই এই নিয়ে অনুমান জানিয়েছিন রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations)। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সেই সংখ্যাটা পূর্ণ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ৭ বিলিয়নের গণ্ডি পার করে দুনিয়াবাসীর সংখ্যা ৮ বিলিয়নে। মানবোন্নয়নের (Human Development) নিরিখে এটা একটা মাইলস্টোন। তবে এখানেই থেমে যাওয়া নয়, রয়েছে আরও অনেক তথ্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা পৌছবে ৮৫০ কোটিতে, ২০৫০ সালে জনসংখ্যার অনুমেয় পরিমাণ হবে ৯৭০ কোটি। আর ২১০০ সালে জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ১০ কোটির গণ্ডি। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান ১০.৪ বিলিয়ন। রয়েছে আরও একটি আকর্ষণীয় তথ্য। পৃথিবীতে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই তথ্য পড়তে পড়তে পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা একদিনে ন্যূনতম ২০ জন আরও বেড়ে যাবে।
একদিকে যেমন জনসংখ্যা বিপুল হারে বেড়ে চলেছে, অর্থনীতিতে (Economy) তেমন গতি নেই। তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ক্ষুধার (Hunger) পরিমাণ। বলা হচ্ছে ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্য সঙ্কটে (Food Crisis) পড়বে পৃথিবী। এখনই রাশ টেনে না ধরলে ভবিষ্যৎ দুনিয়ার সামনে রয়েছে অসীম চ্যালেঞ্জ। তবে বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার খবরের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে আরও একটি তথ্য। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণের হার।
আরও পড়ুন: Katrina Kaif Pregnant: মা হতে চলেছেন ক্যাটরিনা!
পরিসংখ্যান বলছে, ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি জনসংখ্যা হতে ১২ বছর লেগেছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালে গিয়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৯০০ কোটির সংখ্যা ছোঁবে। অর্থাৎ বর্তমান সময় থেকে ধরলে ১৫ বছরের সময়সীমা (Time Frame)। এর অর্থ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। রয়েছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। আগামী ১৫ বছরে পৃথিবীতে যে ১০০ কোটি জনসংখ্যা বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তাতে মাত্র আটটি দেশ অবদান রাখবে – কঙ্গো (Congo), মিশর (Egypt), ইথিওপিয়া (Ethiopia), ভারত (India), নাইজেরিয়া (Nigeria), পাকিস্তান (Pakistan), ফিলিপিন্স (Philippines) এবং তাঞ্জনিয়া (Tanzania)। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যে দেশে মাথাপিছু আয় সর্বনিম্ন, সেই দেশগুলিই আগামী পনেরো বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চলেছে। আর মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি হল রসদ ও উৎসের অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদন এবং ব্যবহার। প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) লাগাম টানতে হলে দরকার অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদন এবং ব্যবহারে রাশ টানা।