বর্ষাকালে কখনও বেমক্কা বৃষ্টি, আবার কখনও রাস্তার ধারে দোকান, ল্যামপোস্টের মাথা চুইয়ে বৃ্ষ্টির জল সোজা আপনার মাথায়। নোংরা জলে চুলের অবস্থা একেবারে তথৈবচ। এমনিতেই বৃষ্টির জল চুলের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তার ওপর সেই জলের সঙ্গে রাস্তার ধুলো ময়লা মিশে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এদিকে আবহাওয়ার অতিরিক্ত আর্দ্রতার ফলে চুল জৌলুসহীন হয়ে যায়, চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল ঝরে পরে। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন শুধু বৃষ্টির জলেই নয় বরং আপনার কিছু ভুল অভ্যাসের কারণেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেগুলো কি কি জেনে নিন-
- যেমন দীর্ঘক্ষণ চুল খোলা রাখলে চুলের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই বর্ষাকালে চুল খুলে না রেখে চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায় পনিটেল বা চুলের খোপা বেঁধে নিন। এক্সপার্টের অনুযায়ী বৃষ্টির জল এমনিতেই অ্যাসিডিক এবং দূষিত হয়। আর এটা চুলের নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট করে চুলের গোড়া আলগা করে দেয়। এর ফলে চুলের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়।
- বর্ষাকালে এমনিতেই চুলের ওপর অনেক অত্যাচার চলে তার মধ্যে হেয়ার স্ট্রেইটনার বা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুলের আরও ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে হেয়ার স্টাইলিংয়ের এই সব সরঞ্জামের ব্যবহার যথাসম্ভব কম করুন।
- বর্ষাকালে এমনিতেই চুল শুকোতে দেরি হয়। তার মধ্যে কন্ডিশনার লাগালে শুকোতে আরও বেশি সময় নেয়। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আপনি কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু করলে কন্ডিশনার ‘মাস্ট’। না হলেই চুলের ক্ষতি হবে।
- বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ত্বক তেলতেল হয়ে যায় ঠিকই। তার মানে এটা একদমই নয় যে আপনি মাথায় তেল লাগাবেন না । প্রয়োজনে তেল লাগিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। চুলের বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় মাথায় তেল মালিশ করা ভীষণ প্রয়োজন। এর দুটি সুবিধে আছে। প্রথম তেল মালিশের ফেল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে তেলে থাকা পুষ্টি হল মাথার ত্বক সহজেই শুষে নেয়। আর চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
আর বৃষ্টিতে ভিজতে আপনার যতই ভাল লাগুক না কেন? চুল ভাল রাখতে চাইলে যথাসম্ভব বৃষ্টির জল কে এড়িয়ে চলুন।