আঙুর খেতে ভালবাসেন না এরকম মানুষ পাওয়া ভার। স্যালাড থেকে শুরু করে কাসটার্ড থেকে রায়তা থেকে আইসক্রিম যে ফলের এমন অবাধ বিচরণ তাকে না ভালবেসে কি আর থাকা যায়। তা ছাড়া আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় আঙুর যোগ করতেই পারেন। উপকার পাবেন। তবে একট বিষয় সতর্কতা অবলম্বন না করলেই বিপদ, ভালবেসে আঙুরের স্বাদের ভুলে মাত্রাতিরিক্ত আঙুর খেলে বিপদ ডেকে আনবেন। একইদিনে একসঙ্গে বেশি পরিমাণের আঙুর খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে কিডনিজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানেই শেষ নয় মাত্রাতিরিক্ত আঙুর খেলে আর কী কী সমস্যা হতে পারে।
প্রচুর পরিমানে আঙুর খেলে ডায়রিয়া হতে পারে
আঙুরে বেশ বেশি মাত্রায় চিনি থাকে এর ফলে মাত্রাতিরিক্ত আঙুর খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই যারা আগে থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা আঙুর খাবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ডায়রিয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
ক্রনিক কিডনির অসুখ
যারা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন কিংবা ডায়বিটিক, তারা ভুলেও আঙুর খাবেন না। আঙুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। এর ফলে ডায়বিটিস থেকে শুরু করে কিডনিতে নানা রকমের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ওজন বাড়তে পারে
আঙুরে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি থাকে। তাই প্রত্যেকদিন যদি বেশি পরিমানে আঙুর খেলে কয়েক কেজি ওজনও বাড়তে পারে। আঙুরে ফ্যাট, ফাইবার, কপার, ভিটামিন কে এবং থিয়ামিন সবই থাকে।
প্রেগনেন্সির সময় আঙুর এড়িয়ে চলুন
আঙুরে প্রচুর মাত্রায় পলিফেনল থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় আঙুর খেলে এই পলিফেনল শিশুর প্যানক্রিয়াসে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
আঙুর খেলে অ্যালার্জি হতে পারে
আঙুরে এক প্রকারের প্রোটিন ট্র্যানসফেরাস নাম লিকুইড প্রোটিন ট্র্যানসফেরাস রয়েছে। এটা খেলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা মুখের কাছে ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা অ্যালার্জির একাধিক লক্ষণ দেখা যেতে পারে। আঙুরে অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা প্রাণঘাতক।
(ছবি সৌ:Unsplash)