ওয়েব ডেস্ক: বাল্মীকি রামায়ণের (Ramayana) বর্ণনা অনুযায়ী, রাম (Lord Ram) হলেন ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। মানব রূপে তিনি ধরাধামে অবতীর্ণ হন চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে। এই বিশেষ দিনটি ‘রামনবমী’ (Ramnavami 2025) নামে পরিচিত। এবছর রামনবমী ৬ এপ্রিল, রবিবার। এই দিনে ‘রামলালা’ রূপে পূজিত হন ভগবান। কিন্তু কী নৈবেদ্য দিয়ে ভগবান রামের পুজো করলে তিনি তুষ্ট হন? চলুন এবার এমন পাঁচটি পদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে রামনবমীতে নিবেদন করা যায়।
(১) পঞ্জিরি: রামলালার অতি প্রিয় নৈবেদ্য হল পঞ্জিরি বা ঘি-ভাজা আটা। এতে ধনে, ঘি ও চিনি থাকে। তার সঙ্গে তুলসী পাতা যোগ করলে তা আরও পবিত্র হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই নৈবেদ্য বিবাহিত জীবনে সৌহার্দ্য এবং মধুরতা আনে।
(২) সুগন্ধী চালের পায়েস: রামের আরেকটি প্রিয় খাদ্য হল চালের পায়েস। দেবী কৌশল্যা পুত্র লাভের আশীর্বাদস্বরূপ এই প্রসাদ পেয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তাই আজও সন্তান লাভ ও সুখ-শান্তির কামনায় রামনবমীতে চালের পায়েস নিবেদন করার রীতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পুত্রেষ্টি’ যজ্ঞের পরেই জন্ম হয় ভগবান রামের, জানেন সেই কাহিনী?
(৩) পঞ্চামৃত: দুধ, দই, ঘি, মধু এবং চিনি দিয়ে তৈরি পঞ্চামৃত হিন্দু দেবদেবীর নৈবেদ্য তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রামনবমীতে এটি ভগবান রামের মূর্তিতে অভিষেক ও নৈবেদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কথিত রয়েছে, এমনটা করলে ভক্তদের জীবনে পবিত্রতা ও সৌভাগ্যের জোয়ার আসে।
(৪) কন্দমূল: বনবাসের সময় রামের প্রধান খাবার ছিল কন্দমূল। সেই স্মৃতিতে রামনবমীতে কন্দমূল নিবেদন করা এক বিশেষ প্রথা। এটি নিবেদন করলে পারিবারিক কল্যাণ ও শান্তি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
(৫) কেশর ভাত: জাফরান ও চাল দিয়ে তৈরি কেশর ভাত রামনবমীর আরেকটি ঐতিহ্যবাহী প্রসাদ। শাস্ত্র মতে, এটি ভগবান রামের অত্যন্ত প্রিয় খাবার। তাই এই ভোগ নিবেদন করলে দারিদ্র্য দূর হয় এবং জীবনে সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
দেখুন আরও খবর: