সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি সৌন্দর্য্যে গ্রহন লাগানোর আগেই বেছে নিন আপনার ত্বকের উপযুক্ত সানস্ক্রিন। ইতিমধ্যেই ত্বক ভাল রাখতে, তারুণ্য ধরে রাখতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার নিয়ে বিউটি এক্সপার্ট থেকে বিউটি ইনফ্লুয়েনসারদের হাজারো পোস্টে ভরে উঠেছে সোশাল মিডিয়া। বিপাকে পড়েছেন আপনি। সানস্ক্রিন যুক্ত মেকআপ কসমেটিক্স দেখে কোনটা ছেড়ে কোনটা বাছবেন বুঝতে পারছেন না। চিন্তা নেই আপনার কাজ সহজ করতে রইল পাঁচটি টিপস। যেমন-
আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন (choose sunscreen according to skin types)
শুধু সানস্ক্রিন না আপনার ত্বকের পরিচর্যাও আপনার ত্বকের ধরন বুঝে করা উচিত। ত্বক নর্মাল না কম্বিনেশন, ড্রাই ,অয়েলি কিংবা সেনসিটিভ, তার ওপর নির্ভর করছে কেমন সানস্ক্রিন আপনার প্রয়োজন। তাই সানস্ক্রিন বাছার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।
যাদের শুষ্ক ত্বক তারা হাইড্রেটিং ও ব্রড স্পেকট্রাম প্রটেকশন ক্ষমতা সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকার পাবেন।
যাদের তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বক তারা কেমিক্যাল বা জেল বেস্ড সানস্ক্রিন ব্যবহারে উপকার পাবেন। পাশাপাশি ত্বক প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পেয়ে তরতাজা হয়ে উঠবে।
আর সানস্ক্রিন প্রত্যেকদিন লাগাতে হবে। নিয়ম করে চোখের পাতায়, কানে, গলার পিছনে, হাতের চেটোতে, পায়ের পাতায়। শরীরের যে কোনও অংশ অনাবৃত থাকলে তাতে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে, তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন ডার্মেটোলজিস্ট গীতিকা মিত্তল গুপ্তা।
সানস্ক্রিনের লেবেল খুটিয়ে পড়ুন (read sunscreen label minutely)
এই বিষয়টা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লাগতে পারে কিন্তু হাতে সময় নিয়ে সানস্ক্রিন কেনার সময় উপকরনের তালিকা ভাল করে পড়ে নিলে আখেরে লাভ আপনারই। সানস্ক্রিনকে মূলত দুপ্রকারে ভাগ করা যেতে পারে- ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল।
ফিজিক্যাল বা মিনারেল সানস্ক্রিনে খনিজ পদার্থ, যেমন জিঙ্ক অক্সাইড, থাকে। সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বক পড়লে এর প্রতিফলন ঘটায় এই ধরনের সানস্ক্রিন।
এদিকে কেমিক্যাল সানস্ক্রিনে কেমিক্যাল কম্পাউন্ড থাকে যা ব্রড স্পেক্ট্রামে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবে এই দু’ধরনের সানস্ক্রিনের যথাযথ উপকার পেতে কয়েক ঘন্টা অন্তর একবার করে ব্যবহার করতে হবে।
মেকআপ আর সানস্ক্রিন (how to apply sunscreen and makeup together )
মেকআপের সঙ্গে কীভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন তা জানতে হবে। এক্ষেত্রে টিনটেড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে সানস্ক্রিন ও ময়শ্চারাইজার দু’টোরই কাজ হবে। আবার মেকআপের জন্য ভাল বেস হিসেবেও কাজ করবে এই সানস্ক্রিন। সেক্ষেত্রে সানস্ক্রিন কিনতে গেলে বিবি ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফর্মুলা (water resistant formula)
সানস্ক্রিন কিনতে গিয়ে অনেকই এই বিষয়টা একেবারে ভুলে যান কিন্তু ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফর্মুলা যুক্ত সানস্ক্রিন খুবই প্রয়োজনীয়। এর ফলে আচমকা বৃষ্টি কিংবা প্রচন্ড ঘামে সানস্ক্রিন নষ্ট হয়ে যাবে না। তবে দিনের শেষে মুখ পরিষ্কার করতে গেলে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। প্রথমে অয়েল বেস্ড ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে এবং পরে জেল বেস্ড ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টার দেখে কিনুন (SPF and sun protection factor)
সানস্ক্রিনে এই এসপিএফ ফ্যাক্টর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি জনপ্রিয় হেলথলাইন ওয়েবসাইটের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এই নিয়ে একটি গবেষণার রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির থেকে ত্বক রক্ষার নিরিখে এসপিএফ ১০০ ও এসপিএফ ৫০-র কার্যক্ষমতার বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে অন্তত এসপিএফ ৩০ থাকলেও যথেষ্ট। তবে এক্ষেত্রে সানস্ক্রিন কয়েক ঘন্টা অন্তর বার বার গায়ে মেখে নিতে হবে।
(ছবি সৌজন্য :Unsplash)