চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকেই ভরসা করেন নারকেল তেলের ওপর। কিন্তু জানেন কি চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে সর্ষের তেল। এই তেলে রয়েছে একাধিক ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই সব উপাদান চুলে ডিপ কন্ডিশনিং করে। এর ফলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে সর্ষের তেলের জুড়ি মেলা ভার।
সর্ষের তেল চুলের জন্য এত উপকারী কেন
সর্ষের তেল শুধু যে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে তা নয়। এই তেল চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। ফলে শুষ্ক ও জৌলুসহীন চুলে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। এছাড়া চুল কড়া কেমিক্যাল বা স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত চুল, দুমুখো চুল কিংবা স্ক্যাল্পের চামড়া উঠে যাওয়া সারাতেও বেশ কার্যকরী সর্ষের তেল।
এই তেলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল কার্যকারিতাও রয়েছে। এই ক্ষমতা চুলে খুসকির সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে।
তবে সর্ষের তেলের এত উপকারিতা যেমন আছে তেমন নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। তাই সর্ষের তেল ব্যবহারের আগে এই বিষয়গুলো মেনে চলা ভাল।
চুলে তেল লাগানোর আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন
সর্ষের তেল মাথায় বা গায়ে লাগানোর আগে একটা প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভাল। এতে আপনার যদি তেল মাখলে কোনও অ্যালার্জির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা ব্যবহারের আগেই জেনে যাবেন। বলা বাহুল্য সর্ষের তেলে অ্যালার্জি হলে তা মাখা যাবে না।
সারারাত মাথায় সর্ষের তেল লাগিয়ে রাখবেন না
অনেকেই রাতে মাথায় তেল মেখে সারারাত রেখে দিয়ে পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করেন। সর্ষের তেলের ক্ষেত্রে এমনটা করবেন না। কারণ এই তেল মাথায় এমন ভাবে বসে যাবে যে শ্যাম্পু করার পরও সহজে ধুয়ে যাবে না। তাই এই তেল মাথায় দীর্ঘসময় লাগিয়ে না রেখে বরং ৩০ মিনিট মাথায় ও চুলে রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
সর্ষের তেল হালকা গরম করে মাথায় লাগান
তেল গরম করলে এতে যে ফ্যাট মলিকিউল আছে তা একটু দূরে দূরে সরে যাবে এর ফলে তেল একটু হালকা হয়ে যাবে। এই অবস্থায় তেল মাথায় ও চুলে লাগানো সহজ হবে এবং তেল থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শুষে নিতে পারবে হেয়ার ফলিকল। এতে চুলের স্বাস্থ্যও ভাল হবে।
(ছবি সৌ:Unsplash)