নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে ফের একবার ওমিক্রন সংক্রমণের শীর্ষে উঠে এল দেশের রাজধানী। দিল্লিতে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ বাড়ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সংক্রমণের পজিটিভিটি হার টানা দু-দিন ধরে বাড়ার কারণে রাজধানী শহরে মঙ্গলবারই হলুদ সতর্কতা জারি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। নতুন করে কোভিড নিষেধাজ্ঞায় জোর দেওয়া হয়েছে। বিয়ে ছাড়া অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মেট্রো, বাস-ট্রেন সহ গণপরিবহণে ৫০ শতাংশ যাত্রী বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কিন্তু রোজ লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বুধবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৭৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪১ জন সুস্থও হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।
এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ওমিক্রন ছড়িয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও কেরালায়। ওমিক্রন-শীর্ষে থাকা দিল্লিতে আক্রান্ত ২৩৮ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ জন।মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্ত ১৬৭ জন, সুস্থ ৭২ জন। গুজরাত, কেরালা, তেলাঙ্গানায় আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৩, ৬৫ ও ৬২। রাজস্থানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪৬ জন। কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও হরিয়ানায় ওমিক্রন আক্রান্ত যথাক্রমে ৩৪,৩৪ ও ১২ জন। পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত ১১ জনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে। সুস্থ একজন।
এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশে ৯ জন, ওডিশায় ৮ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৬ জন, উত্তরাখণ্ডে ৪ জন, চণ্ডীগড়ে ৩ জন, জম্মু-কাশ্মীরে ৩ জন, উত্ত্রপ্রদেশে ২ জন, গোয়া, হিমাচল, লাদাখ ও মণিপুরে ১ জন করে আক্রান্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৯,১৯৫ জন। সবমিলিয়ে দেশে কোভিড আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৮ হাজার ৮৮৬ জন। অ্যাক্টিভ আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৭৭,০০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের। সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত কোভিডের বলি ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৯২ জন।