কলকাতা: পুজো দোরগোড়ায়। অলিতে গলিতে জোরকদমে চলছে প্য়ান্ডেল বানানোর কাজ। চারিদিকে যেন পুজো পুজো গন্ধ। এই অনুভূতি নিয়ে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Ritabrata Mukherjee) তাঁর পুজোর প্ল্যান কলকাতা টিভি’র প্রতিনিধি রচনা মণ্ডলকে কী জানালেন দেখে নেওয়া যাক-
রচনা: তোমার কাছে ছোটবেলার পুজো আর এখনকার পুজোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ঋতব্রত: ছোটবেলায় আরও স্বাধীনভাবে পুজো দেখতে পারতাম। ২০১৮ সাল অবধি। এখন মাস্ক পরে গেলে সুবিধা হয়। এরপরও কিছু জায়গা আছে যেখানে ভিড় এড়িয়ে যাই। কিন্তু ঠাকুর দেখার বিষয়ে আমি ভীষণ জেদি। ঠাকুর আমায় দেখতেই হবে। আর আমার ছোটবেলার সমস্ত বন্ধুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশে। তবে তারা সবাই পুজোয় কলকাতায় আসে আর দেখাও হয় সেটা ভীষণ ভালো লাগে।
রচনা: ঠাকুর দেখতে কখন যাও?
ঋতব্রত: ঠাকুর দেখার জন্য আমি সাধারণত ভোরবেলা বা গভীর রাত পছন্দ করি। এছাড়া পাড়ার পুজোয় আমি ভীষণ ভাবে ইনভলব। পুজোর উত্তেজনায় আমি রীতিমতো টকবক করে ফুটছি।
রচনা: তোমার কাছে পুজোর মূল আকর্ষণ কোনটা?
ঋতব্রত: কলকাতার ঠাকুর দেখা। তবে সাউথের সাবেকি পুজো ভালো লাগে। থিম পুজোও ভালবাসি। সেই সঙ্গে নিয়ম করে কিছু বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা মারতে বসা হয়। বিশেষ করে যে সময় মণ্ডপে মারাত্মক ভিড় থাকে, লাইন পড়ে। ঠিক সে সময়টায় ওই বিশেষ বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দেওয়া আমাদের কাছে দুর্গা পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। আর একটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল অষ্টমীর দিন আমি মায়ের সঙ্গে অঞ্জলি দিতে যাবই।
রচনা: আচ্ছা, এবার সত্যি কথা বলো পুজোয় সিঙ্গল নাকি মিঙ্গল?
ঋতব্রত: আমার মন হচ্ছে এক্কেবারে রঙিন। আমি হলাম বাগানের মালি, একটি মাত্র ফুল নিয়ে আমি কী করব! এ ছাড়াও এই পুজো প্রেম নিয়ে একটা স্মৃতি আমার খুব মনে পড়ে। ইনোসেন্ট ল্যান্ডলাইন যুগের প্রেম। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন আমার পাড়ার এক মেয়েকে আমার খুব ভালো লাগত। আমরা একই স্কুলে পড়তাম আর ও আমার বান্ধবী ছিল। এবার একই পাড়ায় বাড়ি, পাড়ার কাকুর মেয়ে জানতে পারলে ঝামেলা হয়ে যাবে। তাই তখন পুজোটাই একমাত্র সুযোগ তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলার। তাই ওই সময়টা আমি খুব উপভোগ করেছি।
রচনা: পুজোতে কি নতুন কোনও কাজ আসছে?
ঋতব্রত: না। পুজোতে নতুন কোনও কাজ আসছে না, তবে কাজ একটা হচ্ছে। হইচই সিরিজে ‘দাদুর কীর্তি’।
রচনা: শুটিং ফ্লোরে পুজো ভাইব কেমন?
ঋতব্রত: গল্পটা একটা ফ্যামিলির। চৌধুরি বাড়ির গল্প। যেখানে দাদু-বাবা-ছেলে একসঙ্গে রয়েছে। গল্পটা দুর্গা পুজো ওরিয়েন্টেড না তবে আমরা এতো জন মিলে কাজ করছি যে শুটিংটা অনেকটা ওই বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোর মতো। সকলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আড্ডা মারছি এটাই বিশাল ব্যাপার। চাঁদের হাট একবারে।