শীতের আবহাওয়া যতই শুষ্ক হোক না কেন সেজে সুখ এই শীতকালেই। গ্রীষ্মের গরমে ঘামে মেকআপ নষ্ট হওয়া কিংবা বর্ষাকালের বৃষ্টিতে মেকআপ ধুয়ে যাওয়ার ভয় নেই। তার ওপর যাদের লম্বা চুল তারা বছরের এই সময় মনের আনন্দে চুল খোলা রাখতে পারেন আবার নানা রকমের স্টাইলও করতে পারেন। আর শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় যদি চুল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে? চিন্তা নেই মাঝে মধ্যে হেয়ার ডিটক্স করলেই চলবে। চুলে পর্যাপ্ত পরিমান আর্দ্রতা বজায় রাখতে, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও প্রাণোচ্ছল রাখতে হেয়ার ডিটক্সের বিকল্প নেই।
হেয়ার ডিটক্সের কথা শুনে ভাবছেন অতিমারির আবহাওয়ায় আবার পার্লার বা সালোঁতে যেতে হবে? না, যেতে হবে না ঘরে বসেই নিশ্চিন্তে এভাবে সেরে ফেলুন হেয়ার ডিটক্স।
- ডিটক্স মাস্ক দিয়ে চুলের যত্ন নিন এভাবে
চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে দারুণ কার্যকরী হেয়ার ডিটক্স মাস্ক। হেয়ার ডিটক্সের কথা শুনে ভাবছেন অতিমারির আবহাওয়ায় আবার পার্লার বা সালোঁতে যেতে হবে? না, যেতে হবে না চুলের সমস্যা অনুযায়ী ঘরে বসেই নিশ্চিন্তে বানিয়ে ফেলতে পারেন হেয়ার ডিটক্স মাস্ক।
- চুল পরিষ্কারের করুন সঠিক পদ্ধতি মেনে
আপনার চুলেরব ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু বাছুন। খুশকি, চুল পড়া, হেয়ার কালার বা হেয়ার স্টাইলিং সরঞ্জামে ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করুন মাইল্ড শ্যাম্পু। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার দিতে কোনওমতেই ভুলবেন না। এতে চুলে আর্দ্রতা ও জেল্লা বজায় থাকবে।
- স্ক্যাল্প ব্রাশ ব্যবহার করুন
অন্যান্য সময় তো বটেই শীতকালে এই স্ক্যাল্প ব্রাশ ভীষণ কার্যকরী। এর ব্যবহারে মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ে। এর ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি এই ব্রাশ ব্যবহারের ফলে বেশ আরাম লাগে। নিজেকে চাপ মুক্ত মনে হয়। মাথায় ধুলো ময়লা জমে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা কম করে।
- স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহার কম করতে হবে
মাঝে মধ্যে ঠিক আছে। তবে প্রত্যেকদিন হিট স্টাইলিং টুল ব্যবহার করা মানে যেচে চুলের বিপদ ডেকে আনা। বরং প্রয়োজনে সিরাম, হেয়ার পলিশ বা হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে গরমে করে অনিয়ন হেয়ার অয়েল বা হিবিসকাস হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
- নিয়মিত চুল আঁচড়ান
যাদের লম্বা বা কোকড়ানো চুল তার অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়ে চুল ঠিক মতো আঁচড়ান না। এর ফলে চুলে জট পেকে যায়। চুল আরও বেশি ছেঁড়ে। এমনি চুল দুমুখো হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনে বড় দাঁতের চিরুণী দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে মাথার রক্ত চলাচল ভাল থাকে। আবার চুলে চুলে জট পাকায় না। চুল লম্বা থাকলে ছেড়ে না দিয়ে বিনুনি করে নিতে পারেন। আজকাল নানা রকমের বিনুনি করার স্টাইল বেড়িয়েছে। সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
এই সব নিয়মগুলো মেনে চললে তবেই হবে সঠিক হেয়ার ডিটক্স।
(ছবি সৌ:Unsplash)
