কলকাতা: আজ ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ (World Tourism Day 2023)। প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ পালিত হয়। পর্যটকদের (Tourist) আকর্ষণ করতে এবং পর্যটনকে উন্নত করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালিত হয়। ভ্রমণ শুধু যে মানুষ নতুন জায়গা, সেখানকার সংস্কৃতি, খাবার ইত্যাদি অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়, তা নয়। পাশাপাশি শান্তির প্রচার করে এবং সেই জায়গার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। কারণ, যে স্থানে যত বেশি মানুষ বেড়াতে যাবেন, পর্যটকদের সুবিধার জন্য উন্নত মানের পরিকাঠামোও তৈরি হবে। আর এভাবেই সেই জায়গার পর্যটন শিল্পও ধীরে-ধীরে উন্নত হয়। ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড টুরিজম অরগ্যানাইজেশনসের তরফে এই দিনটি পালন করা শুরু হয়েছিল।
‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ ২০২৩-এর থিম- ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ ২০২৩-এর থিম হল ‘পর্যটন ও সবুজ বিনিয়োগ’। এই থিমটি পর্যটনকে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করার উপর জোর দিচ্ছে। পর্যটন ও সবুজ বিনিয়োগের উপর জোর দিলে, ভ্রমণ আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে এবং পরিবেশও সুন্দর থাকবে। এমনকী আগামী প্রজন্মের জন্যও এই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে। গত বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২-এর থিম ছিল ‘রিথিংকিং’। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে পর্যটক শিল্পে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, গত বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসে তার উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর ভ্রমণকে কী করে আরও পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করে তোলা যায়, তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের আয়োজন করেছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন: এই জেলায় মিশে আসে বাংলার ইতিহাস, ঘুরে আসবেন নাকি?
‘বিশ্ব পর্যটন দিবসে’র ইতিহাস- ১৯৮০ সাল থেকে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ পালিত হয়। জাতিসংঘ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ২৭ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসে’র সূচনা করে। ১৯৭০ সালে এই দিনেই জাতিসংঘ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার স্বীকৃতি পায়। তাই ১৯৮০ সাল থেকে এই দিন থেকেই পালিত হয় ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’। ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসে’র মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী পর্যটনকে আরও উন্নত করে তোলে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতাকে তুলে ধরা। তাছাড়া পর্যটনের মাধ্যমে অনেক দেশের আর্থিক উন্নতিও হয়েছে। ভারতে ‘জাতীয় পর্যটন দিবস’ পালিত হয় ২৫ জানুয়ারি।