কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির স্বরূপ প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তারা শেষমেশ প্রস্তাব দিয়েছে যে, আমি যদি বিজেপিতে যোগ দিই, তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা তুলে নেবে। সোমবার ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণের চাঁদমারি করলেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ শিসোদিয়া। একইসঙ্গে এদিন সকালেই তিনি টুইটে জানিয়ে দেন, এই চাপের কাছে তিনি নতিস্বীকার করবেন না। দুর্নীতি ও কু-কৌশলের দলের সামনে মাথা নিচু করবেন না।
দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়ার বাড়িতে গত শুক্রবার সিবিআই তল্লাশি চালায়। আবগারি নীতিতে বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন সকালে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, আমি একটা মেসেজ পেয়েছি। তাতে বলা হয়েছে, আপ ছাড়ুন এবং বিজেপিতে যোগ দিন। আমরা আপনার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডির সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেব। আমার জবাব, আমি একজন রাজপুত। সে কারণে মহারানা প্রতাপের ভক্ত। আমি আমার প্রাণ দিয়ে দেব, কিন্তু দুর্নীতি ও কুচক্রীদের সামনে মাথানত করব না। আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আনা হয়েছে, তার পুরোটাই মিথ্যা। আপনারা ইচ্ছা করলে আমার বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Nitish Kumar: নীতীশ কুমারের কনভয়ে হামলা, ভাঙল গাড়ির কাঁচ
প্রসঙ্গত, এদিনই শিসোদিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে গুজরাত যাচ্ছেন। সেখানে সন্ধ্যায় হিমতনগরের টাউন হলে একটি বৈঠকে যোগ দেবেন তাঁরা। তার আগেই টুইটে শিসোদিয়া লিখেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে আমি দুদিনের জন্য গুজরাত যাচ্ছি। গত ৭-৮ বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে দেশে কী চলছে, তা সকলেই দেখেছেন। সেখানে গত ৫ মাসে পঞ্জাবে এই ক্ষেত্রগুলোতেই কী উন্নতি হয়েছে, তারও সাক্ষী রয়েছেন মানুষ। এসব দেখে গুজরাতের মানুষও কেজরিওয়ালকে একবার সুযোগ দিতে প্রস্তুত। আমরা গুজরাতি জনতাকে বোঝাতে চাই, গত ২৭ বছর ধরে সেখানে কোনও উন্নতি করেনি বিজেপি। তারা মানুষের জন্য প্রায় কিছুই করেনি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একবার সুযোগ দিলে গুজরাতের মানুষ দেখতে পাবেন, গত ২৭ বছরে তাঁরা যা পাননি, পরবর্তী ৫ বছরেই তা পাবেন।
শিসোদিয়ার এই টুইটের জবাবে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেন, সারাজীবন ঔরঙ্গজেবের পূজারী আজ ঘুষ ও চুরির অভিযোগে যখন অভিযুক্ত, তখন মহারানা প্রতাপের স্মরণাপন্ন হতে চলেছেন। সবাই জানে, এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি নিজেই বিজেপিতে ভিড়তে চাইছেন। ধরা পড়লে সব দুর্নীতিবাজ, চোর ও ঘুষখোররাই এরকম কথা বলে।