ছত্তীশগড়: জমি হস্তান্তরে বাধা ছত্তীশগড়ে। শিল্পের জন্য জমির চরিত্র বদলের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হল ছত্তীশগড় সরকারকে। গত মার্চ মাসে ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বিধানসভায় জানান, শিল্পের জন্য রাজ্য সরকার বস্তার অঞ্চলের ৩০০ বর্গ কিমি বনভূমি থেকে সরিয়ে রাজস্ব বিভাগের আওতায় স্থানান্তর করবে। রায়পুরের চেয়েও বড় ওই এলাকায় গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপই এখন জটিলতার মুখে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের দাবি, ছত্তিশগড় সরকার কখনও ওই জমি হস্তান্তরের জন্য ছাড়পত্র চায়নি। তারা দাবি করে, ওই জমি আগে ভুলবশত বন দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক বলছে, ওই জমিটি সীমাহীন সংরক্ষিত বন আইনের আওতায় পড়ছে। যা বন দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া হস্তান্তর করা যায় না।
গত ১৫ অগাস্ট কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ছত্তীশগড়ের মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের বন দফতর প্রধানের কাছে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে জমি হস্তান্তর বন্ধ করতে বলে। চিঠিতে বলা হয়, এটি ১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে চিঠিতে জানানো হয়েছে, ওই জমি বন দফতরকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: এবার কেজরির কয়েকজন বিধায়ক ‘নিখোঁজ’, জল্পনা দিল্লিতে
কিন্তু ছত্তীশগড় সরকার তাদের অবস্থানে অনড়। ভারত সরকারের চিঠির উত্তর তারা জানায়, সংরক্ষিত ওই জমি হস্তান্তর করা হয়নি। ছত্তিশগড়ের বন বাহিনীর প্রধান রাকেশ চতুর্বেদী বলেন, রাজ্যের সমস্ত হস্তান্তরিত জমি জঙ্গলের বাইরের জমি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।