কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আদিবাসী পরিচারিকাকে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্র। বুধবার রাঁচি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যা, প্রাক্তন আমলার স্ত্রী সীমাকে সাসপেন্ড করেছে দল। ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় তাঁর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পরিচারিকার অভিযোগ, তাঁকে যখনতখন বেধড়ক মারধর করা হতো। বেল্ট, লোহার রড এমনকী গরম রান্নার বাসন শরীরে চেপে ধরতেন মালকিন। মধ্যযুগীয় অত্যাচারের এখানেই শেষ নয়। পরিচারিকা তাঁর জবানবন্দিতে আরও অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হতো। মাটিতে পড়া প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করাতেন মালকিন সীমা পাত্র। গুরুতর জখম অবস্থায় নির্যাতিতা যুবতী এখন রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Monkeypox: আমেরিকায় প্রথম মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু, উদ্বেগে বাইডেন প্রশাসন
জনৈক সরকারি কর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে গত ২২ অগাস্ট রাঁচি পুলিশ ২৯ বছরের ওই যুবতীকে প্রাক্তন আমলার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন ওই মহিলা। সেখানেই দিনের পর দিন অত্যাচারের কথা জানান তিনি।
জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, সীমা পাত্র বর্বরোচিত অত্যাচার করতেন ওই পরিচারিকাকে। অত্যাচারের নির্মম দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ পর্যন্ত পুলিশ কর্তা নীরজ সিনহার কাছে জানতে চান, কেন ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও বিজেপি নেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।