কংগ্রেসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিরলতম পরিস্থিতিই তৈরি হতে চলেছে। দলের সভাপতি পদে খাকছেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দলের জি-২৩ গোষ্ঠীর বা বিক্ষুব্ধ ২৩ জন নেতার মধ্যে অন্যতম প্রধান মুখ শশী থারুরের সঙ্গে গান্ধী ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলটের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন রাজনীতির সমীকরণে যার যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে।
কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠীর মধ্যে থারুরই প্রথম যিনি রাহুল-সনিয়ার আড়াই দশক সভাপতিত্বের পর দলের ভার কাঁধে নিতে নির্বাচনে লড়ার পথে প্রথম ধাপ এগোলেন। শনিবার মনোনয় পত্র তোলা হয় থারুরের তরফে। তবে লড়াই যে সহজ নয় তা বিলক্ষণ জানেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। কারণ পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে শশী থারুরের মূল প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অশোক গেহলট।
আপাতত ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার নেতৃত্বে কেরলে আছেন রাহুল। তাঁকেই সভাপতি পদে বসার জন্য নানা চেষ্টা চালাচ্ছেন গান্ধী-ঘনিষ্ঠরা। গেহলট নিজে বারবার রাহুলকে ফের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়া সোনিয়া-তনয় আর সে দায়িত্বে ফিরতে চাননি। তাঁর আগে দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন সনিয়া। রাহুলের পদত্যাগের পর আবার সনিয়াকেই অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর ভার নিতে হয়।
১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট হয়েছে। সেই লড়াইয়ের জন্য শনিবার মনোনয়নপত্র তুলে রাখলেন শশী থারুর। এদিকে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা অনেকেই খোলাখুলি গেহলটকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অস্বস্তি বাড়ছে বুঝেই হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার জেরে রাহুল-ঘনিষ্ঠ প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বিবৃতি দিয়ে জানান, দলের সভাপতি পদপ্রার্থীদের নিয়ে কোনও বেফাঁস মন্তব্য বাঞ্ছনীয় নয়।