দুপক্ষের স্নায়ুর লড়াইয়ে অনেকদিন ধরেই সমস্যা যথেষ্ট বাড়ছিল। শেষে সে লড়াইয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে রাইসিনা হিলসের কাছেই পৌঁছাতে হল এমকে স্টালিনকে। রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করছেন রাজ্যপাল। বিদ্বেষের আবহ আরও বিপজ্জনক আকার নিচ্ছে।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। তাঁর সঙ্গে সে রাজ্যের শাসকদলের বিরোধ আপাতত চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বিধানসভায় পাশ হওয়া কুড়িটির বেশি বিল রাজ্যপাল আটকে রেখে দিয়েছেন বলে ডিএমকে নেতৃত্বের অভিযোগ। বিরোধের আকার এতটাই যে রাজ্যপালকে পদচ্যুত করতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হতে হল ডিএমকে দলকে। স্ট্যালিনের শিবিরের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ঘৃণার আবহকে উসকানি দিচ্ছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারকে আমজনতার স্বার্থে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিধানসভা বিল পাশ হয়ে গেলেও তাঁর কাছে পাঠানো হলে তিনি অনুমোদন দিচ্ছেন না। ঠিক যেভাবে এরাজ্যে হাওড়া-বালি পুরসভা-সহ একাধিক বিল ধনকড়ের কাছে পাঠানো হলেও তিনি অনুমোদন দিতেন না। নানা অজুহাতে রাজভবনে আটকে রেখে দিত ওই সব বিল।
হয়তো এজন্যই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দক্ষিণ ভারতের সব থেকে বড় রাজ্যের রাজ্যপালের ভূমিকা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আচরণকে মনে করাচ্ছে। তৎকালীন রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছিল বাংলার শাসকদল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল। এবার সেই পর্বেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে তামিলনাড়ুতে। ডিএমকে নেতৃত্বের গুরুতর অভিযোগ, সংবিধানের কোনও বিধিই মানছেন না রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে ওই যাবতীয় প্রসঙ্গের উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই চিঠিতে আরও জানান হয়েছে, নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। যাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ হিসেবে গণ্য করা যায়। আর সেজন্যই তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন ডিএমকে নেতৃত্ব।