চেন্নাই: বর্ণাশ্রমের শিকার এবার তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। নিচু জাতের বলে ৬ স্কুল পড়ুয়াকে দিয়ে শৌচাগার সাফাই করালেন প্রধান শিক্ষিকা। এই অভিযোগে এক ছাত্রের মা পুলিশে এফআইআর করেছেন। প্রধান শিক্ষিকা গীতা রানি ওই ঘটনার পর থেকে উধাও। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর এরোদ জেলার (Erode district)। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গীতা রানি ৬ তফসিলি জাতিভুক্ত (scheduled castes) পড়ুয়াকে দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করান বলে অভিযোগ। তার মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের মা জয়ন্তীর অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা বেছে বেছে স্কুলের তফসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের এই কাজে লাগিয়েছেন।
ওই পড়ুয়ার সম্প্রতি ডেঙ্গু হয়েছে। তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তখনই বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের লোকরা। জয়ন্তী বলেন, যখন ছেলেকে জিজ্ঞাসা করি, কী করে জ্বর এল। তখন সে জানায়, তাদের কয়েকজনকে দিয়ে রোজ শৌচাগার পরিষ্কার করানো হয়। সে যখন ব্লিচিং পাউডার নিয়ে বাথরুম সাফ করে তখন তাকে রোজ মশা কামড়ায় বলে মাকে জানায় সে।
আরও পড়ুন: High Court DA: জানুয়ারির আগে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের ডিএ-র বকেয়া মেটাতে নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে এক ছাত্রের মা দেখেছেন কয়েকজনকে মগ, বালতি ও মোছার ডান্ডা হাতে বাথরুম থেকে বেরতে। জিজ্ঞাসা করতে তারা জানায়, বাথরুম পরিষ্কার করছিল। প্রধান শিক্ষিকা তাদের এই কাজ করতে বলেছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ক্লাসে মোট ৪০ জন পড়ে। তার মধ্যে বেশিরভাগই তফসিলি জাতিভুক্ত। আর প্রধান শিক্ষিকা আমাদের ছেলেদের দিয়েই বাথরুম সাফ করান।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট (Juvenile Justice Act) এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি নির্যাতন বিরোধী আইনে (Scheduled Caste and Scheduled Tribe (Prevention of Atrocities) Act) মামলা দায়ের করেছে। পলাকরাইয়ের পঞ্চায়েত ইউনিয়ন স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষিকা পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।