নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে উঠেছে সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস। মোদি জমানায় কয়েক গুণ সম্পত্তির বহর বেড়েছ গৌতম আদানির। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সংস্থা দাবি করে, আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। এর পিছনে জালিয়াতিও রয়েছে। কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে শেযার। তারা জানিয়েছে, দুই বছর ধরে তারা এই সমী্ক্ষা চালিয়েছিল। তা থেকে ওই রিপোর্ট উঠে এসেছে। শুক্রবার কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, আরবিআই, সেবিকে দিয়ে খুব ভালোভাবে তদন্ত করানো হোক। জনস্বার্থে এই তদন্ত (Investigation) হোক।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রায়ই মোদি সরকারকে (Narendra Modi Government) আক্রমণ করে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ীকে (Businessman) সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জয়রাম রমেশ বিজেপিকে (BJP) বিঁধে বলেন, আমরা বিজেপি সরকার ও আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে সব জানি।
এদিকে, শুক্রবার সকালে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসার শেয়ারে (Share Market) পতন হল। অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকার ধাক্কা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তাতে। জানা গিয়েছে, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার কমেছে ১৭ শতাংশ। আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারেও পতন হয়েছে ১২ শতাংশ। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার কমেছে ৩.৫ শতাংশ। এদিন কংগ্রেস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে তাঁর যোগোযোগ। উল্লেখ্য, শেয়ার এদিন এতটা নেমেছে যে, গৌতম আদানি বিশ্বে ধনীদের নিরিখে চার নম্বরে নেমে যায়। একদিনে ৮০ হাজার কোটি টাকা খোয়াতে হয় তাঁকে।
(Congress Friday demanded a “serious investigation” by the Reserve Bank of India and the Securities and Exchange Board of India)
উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠী অবশ্য জানিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভুল ও মিথ্য তথ্যা। এর বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।