খড়্গপুর: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ( Governor C V Ananda Bose) হাতে খড়ি নিয়ে ফের খোঁচা দিল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খড়্গপুর শহরের বোগদায় চা চক্রে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, রাজ্যপাল বাংলা (Bengali language ) শেখার আগেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মালয়ালম (Malyalam language) ভাষা শিখে গেলেন। এটা রাজ্যপালের একটা বড় কৃতিত্বের (credit) ব্যাপার। বৃহস্পতিবার রাজভবনে ওই হাতে খড়ি (hatekhari) অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের জয় বাংলা (Joy Bangla) ধ্বনি দেওয়া নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, যদি সরকার ওই ধ্বনি দিতে পারে, তবে রাজ্যপাল পারবেন না কেন। উনি তো সরকারের সঙ্গেই আছেন। বিধানসভায় তাঁকে বলতে হয়, মাই গভর্নমেন্ট।
বৃহস্পতিবার রাজভবনের (Raj Bhavan) ওই অনুষ্ঠান বয়কট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of opposition) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, রাজভবনকে রাজনৈতিক কাজে লাগাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। ভালো মানুষ রাজ্যপালকে তিনি ব্যবহার করছেন। রাজ্যপালের উচিত এই ফাঁদে পা না দেওয়া। শুভেন্দুর দাবি, বৃহস্পতিবার রাজভবনে জয় বাংলা বলার পরই দিল্লি রাজ্যপালকে ডেকে পাঠিয়েছে।
এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, জয় বাংলা বলার পরই দিল্লি রাজ্যপালকে ডেকেছে কি না, বলতে পারব না। আমি জানি না, কে ডেকেছে, কেন ডেকেছে। রাজ্যপালের হাতে খড়ি নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, আমরা জানি, যে নিরক্ষর, তার হাতে খড়ি হয়। যিনি সব জেনে গিয়েছেন, তাঁর আবার হাতে খড়ি কেন। রাজ্যপাল তো বিদ্বান মানুষ। তাঁর এই অনুষ্ঠান করাটা বেশি বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে। কে তাঁকে এই বুদ্ধি দিয়েছে, বলতে পারব না। এগুলো করা রাজ্যপালের শোভা পায় না।
অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, কে কোথায় যাবে বা না যাবে, কে বয়কট করবে, তা অন্য বিষয়। তবে এই ধরনের ড্রামা করা রাজ্যপালের শোভা পায় না। উনি অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদ খুব গরিমাময়। সাংবিধানিক পদ। এই সব ছোটখাট বিষয়ে তাঁর না ঢোকাই ভালো। উনি বাংলায় এক সময় চাকরি করেছেন। হয়তো বাংলা কমবেশি জানেন। আমাদের দেশে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। তার জন্য অনুষ্ঠান করার দরকার হয় না।
আরও পড়ুন: Adani Group Update: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস
হাতে খড়ি অনুষ্ঠানের পরই বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায়। সেই জল্পনায় ইন্ধন যোগায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (TMC spokesperson Kunal Ghosh) বক্তব্য। ওই রাতে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপালকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওঁরা হয়তো তাঁকে কিছু বলবেন। কুণাল টুইটে লেখেন, রাজ্যপালকে পক্ষপাতদুষ্ট করা হচ্ছে। বিজেপি যা খুশি করে যাচ্ছে। মানুষ সব দেখছে। বিজেপি পরে সব টের পাবে।