সিকিম: তুরস্কের স্মৃতি উসকে এবার কেঁপে উঠল সিকিম (Sikkim)। সোমবার ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয় প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.৩। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির (Damage) কোনও খবর নেই। তবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে (National Centre For Seismology) জানানো হয়েছে, সিকিমে ভূমিকম্পের উত্স ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউকসাম শহরের ৭০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে মাটির গভীরে ভূমিকম্প হয়। কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার বিকেলেই অসমের নাগাঁওতে ভূমিকম্প হয়। তার একদিন পরেই এবার কেঁপে উঠল সিকিম। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দা এবং পর্যটকরা।
আরও পড়ুন:Nandini Chakraborty: রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে সরানো হলো নন্দিনীকে
রবিবারই ভূমিকম্প হয় অসমে। বিকেল ৪টে ১৮ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয় অসমের নওগাঁওয়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নওগাঁও এলাকায়, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের মাত্রা কম থাকায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। তার আগে শনিবার ভোরে লাদাখের কার্গিল থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার উত্তরে ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.২। এর আগে শুক্রবার রাত ১২টা ৫২ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গুজরাটের সুরাট। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৮
সপ্তাহ খানেক আগেই তীব্র ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রার সেই কম্পনের পর আফটার শক হয় অন্তত ১০০ বার। পর পর কম্পনে বিধ্বস্ত পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত আট দিন পরেও। এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।