নয়াদিল্লি: কম্বলকাণ্ডে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট তাঁকে দিল্লির নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করেছেন। মাস কয়েক আগে জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি ব্যবস্থাপনা আসানসোলে কম্বল বিলির অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়।সেই ঘটনায় সস্ত্রীক জিতেন্দ্র-সহ বেশ কয়েক জনের নাম এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা চলছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে বিজেপির উদ্যোগে একটি কম্বল বিলি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম ছিলেন জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী। গেরুয়া দলের সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পুল সংখক মানুষ সেদিনের অনুষ্ঠানে কম্বল নিতে হাজির হয়েছিলেন। যার জেরে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুলিশকে দিয়ে সামলানো যায়নি সেদিনের পরিস্থিতি। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী-সহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনাতেই সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারনি-সহ ১২ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল এক মৃতের পরিবার। তবে বিরোধী দলনেতা চলে যাওয়ার পরেই কম্বল বিলি নিয়ে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়।
এই মামলায় জিতেন্দ্র স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। তার মধ্যে বেশ কয়েকবার তাঁদের ফ্ল্যাটে জন্যেরা করতে। সেই সময় বাড়ির দরজায় তালা বন্ধ পেয়ে, হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরেও দেখা মেলেনি জিতেন্দ্র-চৈতালির। এর মাঝে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতেও বলা হয়। তারপর ফের ১০ ফেব্রুয়ারী একটি আবেদনের ভিত্তিতেও চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র এবং চৈতালি। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এরই মাঝে আবার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
শেয়ার করুন