নয়াদিল্লি: দেশের নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, সোমবার জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন শীর্ষ মেডিক্যাল টিম। করোনা প্রতিরোধ কৌশল নির্ণায়নে এই বিশেষজ্ঞ দল আলোচনা করে আগামী কর্মসূচি তৈরি করবে।
আচমকাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ চার মাসের মধ্যে গতকালের সংক্রমণ ছিল সর্বাধিক। ১২৯ দিন পর দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার বেলা পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৮ জন। যা নিয়ে আরও চিন্তা বাড়ছে। উদ্বেগ রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরও। H3N2 ফ্লুর ক্রমবর্ধমান আতঙ্ক এবং কোভিড সংক্রমণের সামান্য বৃদ্ধির মধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রের তৈরি করা টাস্ক ফোর্স।
আরও পড়ুন: Salman Khan | Threat Email | সলমন খানকে ফের গ্যাংস্টারের হুমকি!
নতুন নির্দেশিকায় কী বলছে মন্ত্রক?
১) পরীক্ষা না করে বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়।
২) লোপিনাভির-রিটোনাভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ), আইভারমেকটিন, মলনুপিরাভির, ফাভিপিরাভির, অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের মতো জেনেরিক নামের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছে।
৩) শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক।
৪) কোনও ব্যক্তির পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর,সর্দি,কাশি থাকলে, তাঁকে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৫) সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার দায়িত্ব নিতে হবে অসুস্থ ব্যক্তিকেই। হাসপাতালে ভর্তি না হলেও প্রয়োজনে বাড়িতে থেকেই চিকিত্সা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের হার মূলত বৃদ্ধি পাচ্ছে পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে। তবে উত্তর ও পূর্ব ভারতেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি গুজরাতে। সেখানে গত সাত দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬০ জন। যা আগের সাত দিনের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বলে খবর স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূ্ত্রে।
সোমবার বেলা পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা ৫,৩০,৮০৬ । আক্রান্ততের সংখ্যা ৪৪,৬৯৬,৩৩৮। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৪,১৫৮,১৮২ জন ব্যক্তি। আবারও কি আতঙ্কের দিন ফিরবে দেশে! চিন্তায় চিকিত্সক থেকে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৭৬টি নমুনা থেকে করোনার উপপ্রজাতি XBB.1.16 –এর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে ৫, মহারাষ্ট্রে ২৯, কর্নাটকে ৩০, পুদুচেরিতে ৭, তেলঙ্গনায় ২ জনের শরীর থেকে পাওয়া গেছে করোনার এই উপপ্রজাতি। এর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, ওড়িশাতে XBB-তে আক্রান্ত একজন করে।