নয়াদিল্লি: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা (Corona)। প্রতিদিনই দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান (Statistics of Union Ministry of Health) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত (Infected with corona) হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৫ জন। এখন দেশে অ্যকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ১৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই আবহে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, আগামী ২০ দিনের মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে। যা চতুর্থ ওয়েভ বলে মনে করছেন তাঁরা।
অতীতের সংক্রমণের উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞদের মত, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সংক্রমণের হার একেবারে শীর্ষে পৌঁছবে। তারপর থেকে সংক্রমণের হার ক্রমশ কমবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঘুবিন্দর পরাশর বলেন,আগের তিনটি ওয়েভ থেকে ভাইরাসের প্যাটার্নের পার্থক্য বোঝা যায়। এর ফলে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা করতে সুবিধা হয়। অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছয়। তারপর ধীরে ধীরে সেই হার কমতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনার এক্সবিবি.১.১৬ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হল কাশি ও সর্দি। যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, যকৃৎ ও মস্তিষ্কে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়তে পারে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ চিন্তার কারণ না থাকলেও, যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে এবং যাদের অত্যাধিক ওজন, তাদের সংক্রমণ নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া (Union Health Minister Mansukh Mandbia)। সব রাজ্যকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংক্রমণ মোকাবিলায় হটস্পট চিহ্নিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সমস্ত রাজ্যগুলি যাতে কোভিড উপযুক্ত আচরণবিধি পালন করে। আগামী ১০ এবং ১১ তারিখ যেন সমস্ত হাসপাতালে মকড্রিল করা হয় এবং সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা তা দেখতে অবশ্যই যেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা সশরীরে হাজির থাকেন। পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বৈঠকে কোভিড পরীক্ষা বাড়াতে বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশে উল্লেখ করা আছে যে করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের পদ্ধতি, লক্ষ্মণ এবং উপসর্গের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি মিল রয়েছে। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পরই হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে শুরু করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।