নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস (Coronavirus) উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঘিরে ক্রমশ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে দেশে, আরও বৃদ্ধি পেল দৈনিক সংক্রমণ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান (Statistics of Union Ministry of Health) অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত (Infected with corona) হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৫ জন। দেশে অ্যকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়ালো। এই মুহূর্তে দেশে অ্যকটিভ রোগীর (Active patients) সংখ্যা ৩১ হাজার ১৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫৪ জনের। করোনার নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬-এর (New variant Corona is XBB.1.16) কারণেই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনার এক্সবিবি.১.১৬ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হল কাশি ও সর্দি। যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, যকৃৎ ও মস্তিষ্কে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়তে পারে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ চিন্তার কারণ না থাকলেও, যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে এবং যাদের অত্যাধিক ওজন, তাদের সংক্রমণ নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: Poor Prisoners Pay | গরিব বন্দিদের জামিনের অর্থ জোগাতে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া (Union Health Minister Mansukh Mandbia)। সব রাজ্যকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংক্রমণ মোকাবিলায় হটস্পট চিহ্নিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সমস্ত রাজ্যগুলি যাতে কোভিড উপযুক্ত আচরণবিধি পালন করে। আগামী ১০ এবং ১১ তারিখ যেন সমস্ত হাসপাতালে মকড্রিল করা হয় এবং সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা তা দেখতে অবশ্যই যেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা সশরীরে হাজির থাকেন। পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বৈঠকে কোভিড পরীক্ষা বাড়াতে বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশে উল্লেখ করা আছে যে করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের পদ্ধতি, লক্ষ্মণ এবং উপসর্গের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি মিল রয়েছে। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পরই হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে শুরু করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।