নয়াদিল্লি: দেশের উত্তর সীমান্তের বিপদ ঠেকাতে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian armed forces)। আরও দু’টি প্রলয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (Pralay Ballistic Missiles) আনানোর জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরজন্য খরচ হবে ৭,৫০০ কোটিরও বেশি টাকা। ভারতের উত্তর সীমান্তে বিপদের পাল্টা জবাব দিতে শক্তিশালী রকেট বাহিনী (Powerful Pocket Force) গড়ে তোলার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর।
গত ডিসেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force – IAF) জন্য এই ধরনের একটি মিসাইলের ইউনিটের জন্য মঞ্জুরি দিয়েছিল। তারপর সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “প্রতিরক্ষা বাহিনীর (Defence Forces) জন্য আরও দু’টি প্রলয় ব্যালিস্টি মিসাইল অধিগ্রহণ (Acquire) করা হবে। তিন বাহিনীর জন্য অস্ত্র ভাঁড়ারে শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি এগুলি রকেট বাহিনীও গড়ে তুলবে।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য প্রলয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের অধিগ্রহণের বিষয়টি এখন অগ্রসর পর্যায়ে রয়েছে, শীঘ্রই মঞ্জুরি মিলবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Haldia Tornedo | রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের মাঝেই হঠাৎ দেখা টর্নেডোর, আতঙ্ক শিল্প শহরে
প্রলয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাল্লা (Range) ১৫০ কিমি থেকে ৫০০ কিমি। শত্রুপক্ষের ইন্টারসেপ্টর মিসাইলে (Interceptor Missile) আঘাত হানার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয় এটি। প্রচেষ্টা চলছে, এই ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাল্লা যাতে আরও বাড়ানো যায়। ভারতীয় সামরিক বাহিনী চায়, অন্তত পক্ষে কয়েকশো কিমি পাল্লা যাতে বাড়ানো যায়। তাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি ও সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চীন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) হাতে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের (Tactical Purposes) জন্য ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। ভারতের আশা, প্রলয় এলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সক্ষমতা আরও বাড়বে।
এই প্রলয় ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন (Defense Research and Development Organization – DRDO)। কিন্তু, তা এখনও তৈরির কাজ চলছে বলে খবর। ২০১৫ সালে প্রলয় মিসাইল সিস্টেম (Pralay Missile System) তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রয়াত ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত (Gen. Bipin Rawat) এই মিসাইল তৈরির কাজে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দুই দিনে সফল পরীক্ষণ হয়েছে এর।
প্রলয় হলো কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ভূমি থেকে ভূমি মিসাইল (Quasi-Ballistic Surface-to-Surface Missile)। ৫০০ কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রু দেশের ইন্টারসেপ্টর মিসাইলকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই তৈরি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে তার গন্তব্যস্থলে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। অত্যাধুনিক এই মিসাইল প্রথমে পাবে ভারতীয় বায়ু সেনা, তারপর পাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।