বেঙ্গালুরু: আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন (Karnataka Assembly Election) বিজেপির (BJP) অ্যাসিড টেস্ট। বলা হচ্ছে এই প্রথম কর্নাটকে শক্ত লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপি। বিজেপির অনেক তাবড় নেতা ভোটের আগে দল ছেড়েছেন। অনেকে যোগ দিয়েছেন প্রতিপক্ষ শিবির কংগ্রেসে (Congress)। দক্ষিণ ভারতের (South India) এই একটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা কার্যত হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন। প্রচেষ্টা হচ্ছে যত বেশি সম্ভব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) দিয়ে প্রচার করানো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকে ভোট নিয়ে বলেন, অন্য পার্টিরা ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী ২৫ বছরে ভারতের উন্নতি। ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর মাত্র দুসপ্তাহ সময় বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়ালি (Virtual) বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। দিন যত এগিয়ে আসছে কর্নাটকে সব রাজনৈতিক দলই জোরদার প্রচার চালাচ্ছে। ১০ মে ২২৪ আসনে ২৬১৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রেওরি সংস্কৃতি বন্ধ হোক। কর্মীদের বুথস্তরে প্রচার করতে হবে। যাতে পার্টি ক্ষমতায় আসে। মোদি এদিন বলেন, আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি মানে ক্ষমতা ও দুর্নীতি। সেটা অর্জন করতে তারা যা পারে তাই করছে। এই রাজনৈতিক দলগুলি দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবে না। কর্নাটকের ভবিষ্যতের কথা ভাবে না। যুবকদের কথা ভাবে না। মহিলাদের কথা ভাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছয় দিনে অন্ততপক্ষে ১৫টি জনসভা করবেন। এছাড়া রোডশো করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত প্রচার করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৮ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৩ মে, ৪ মে, ৬ মে, ৭ মে প্রচার করবেন। কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে চ্যালেঞ্জের। সেজন্য সবরকমভাবে প্রচার চালাচ্ছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে সেখানে প্রচারে যোগ দেবেন রাজনাথ সিংহ। বিজেপির বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী এলে বিজেপির পক্ষে হাওয়া তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: Sukanya Mandal | তিন দিনের ইডি হেফাজত সুকন্যার
এদিকে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেসও। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ম্যাঙ্গালুরুর উদুপিতে (Udupi) আজ নির্বাচনী প্রচার করবেন। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, কর্নাটকে একক ক্ষমতায় কংগ্রেস সরকার গড়তে চলেছে। কংগ্রেস প্রার্থী বিনয়কুমার সোরাকে বলেনন, উচিলাতে রাহুল গান্ধী মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন। রাহুল গান্ধী সেখানে মৎস্যজীবীদের সমস্যার বিষয়ে জানবেন। কংগ্রেসের ওই রাজ্যের প্রেসিডেন্ট ডিকে শিবকুমারও সেখানে থাকবেন।