নয়াদিল্লি: পরিষেবা সচিবকে (Service Secretary) সরিয়ে দেওয়ার ফাইল ছাড়ার দাবিতে দিল্লির মন্ত্রীরা লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Leftenant Governor) ভিকে সাক্সেনার (VK Saxena) বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন। আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ, অতীশী, কৈলাস গেহলত, রাজকুমার আনন্দ রয়েছেন ধর্নাতে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে দেরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টির। সেখানে দিল্লি সরকারের মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে দিল্লির পরিষেবা মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ভিকে সাক্সেনাকে অনুরোধ করেছেন, পরিষেবা সচিব আশিস মোরের (Ashis More) বদলি বিষয়ক ফাইল দ্রুত ছাড়া হোক। দেরির জন্য প্রশাসনে তার প্রভাব পড়ছে। ভরদ্বাজ বলেন, দিল্লি সরকার দুদিন আগে ফাইল পাঠিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ প্রয়োগে দেরি হওয়ায় তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়ে, অফিসারদের বদলি ও পোস্টিংয়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী আশিস মোরকে সরানো হলেও লেফটেন্যান্ট গভর্নর ফাইল পাশ করেননি।
দিল্লির আপ (APP) সরকার পরিষেবা দফতরের সচিব আশিস মোরেকে (Secretary Ashish More) সরিয়ে দিলেও কেন্দ্র তাঁকে ছাড়তে নারাজ। আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। দিল্লির সরকার তাদের আবেদন বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ওই সচিবকে সরানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করছে না। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লড়াইতে সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেয়েছে দিল্লির আপ সরকার। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। ভূমি, পুলিশ এবং জন নিরাপত্তা ছাড়া বাকি সব প্রশাসনিক কাজে শেষ কথা বলবে দিল্লির সরকার। দিল্লির লেফটেন্যান্টকে সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। দরকার হলে তিনি সরকারকে পরামর্শ দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Mamata| Abhoshik| নবজোয়ার আটকাতেই অভিষেককে নোটিস, তোপ মমতার
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। দিল্লিতে প্রথম আপ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত আট বছর ধরে প্রশাসনিক ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দিল্লির সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে বিরোধ চলছিল। অভিযোগ, দিল্লির পরামর্শেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lt. Gen) বা উপরাজ্যপাল দিল্লির সরকারের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন। আমলাদের বদলি করা নিয়েও দুই সরকারের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে সেই বিরোধের নিষ্পত্তি হল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।