বেঙ্গালুরু: বেসরকারি পরিবহণ মালিক ও কর্মীদের ধর্মঘটে অচল তথ্যপ্রযুক্তি শহর কর্নাটকের বেঙ্গালুরু। দেশের অন্যতম ব্যস্ত বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা দেশী-বিদেশি যাত্রীরা মহা ফাঁপরে পড়েছেন। ভোটের আগে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ‘শক্তি প্রকল্প’এ মহিলাদের বিনা পয়সায় বাসে ভ্রমণের সুবিধা দেওয়ায় মুখের ভাত মারা যাচ্ছে বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের। মূলত এই কারণ ছাড়াও ২৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে ফেডারেশন অফ দি কর্নাটক স্টেট প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।
রবিবার মধরাত থেকে শুরু হওয়া এই পরিবহণ ধর্মঘট সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। ধর্মঘটে প্রায় ৩২ হাজার বাসের চাকা স্তব্ধ। এছাড়াও শহরে অটো, ট্যাক্সি, কর্পোরেট গাড়ি, এয়ারপোর্ট ট্যাক্সি এবং বাস মিলিয়ে প্রায় ৭-১০ লক্ষ গাড়ির চাকা বন্ধ। কিছু সরকারি বাস চললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। অতিরিক্ত মেট্রো রেল চললেও তাতেও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল থেকেই বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। শহরের অধিকাংশ স্কুল গতকালই ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত নয়, বৈঠকে জানিয়ে দিল কমিশন
বেসরকারি পরিবহণ মালিকরা এদিন বেঙ্গালুরু বনধের ডাক দিয়েছিল। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিমতো মহিলাদের সাধারণ সরকারি বাসে টিকিট না কেটে যাতায়াতের সুবিধা দিয়েছে। সে কারণে বেসরকারি গাড়িগুলি লোকসানে চলাচল করছে বলে ফেডারেশনের অভিযোগ। এতে শহরে সবথেকে প্রভাব পড়েছে বিমানবন্দরের যাত্রীদের উপর। ৩২টি বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের সংযুক্ত সংগঠন একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে শহরের ফ্রিডম পার্কে জমায়েত করেছে। প্রায় ১০ হাজার আন্দোলনকারী মিছিলে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে কোনও পরিবহণ না পেয়ে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা অনিল কুম্বলে সরকারি বাসে উঠে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। অন্যদিকে, আউটার রিং রোডে একটি বেসরকারি গাড়ি পথে নামায় কয়েকজন আন্দোলনকারী ইট মেরে কাচ ভেঙে দেয়। আদতে এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের সভাপতি নলিনকুমার কাতিল এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার রাজ্যের মানুষকে লুট করছে। যেখান থেকে পারছে সেখান থেকে টাকা তোলা চলছে। বদলি চক্র থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিছুই বাদ দিচ্ছে না। বেসরকারি পরিবহণের জন্য সরকারের ভাঁড়ারে কোনও অর্থই নেই।