ভারতে নতুন ছ’টি মাকড়সার প্রজাতি আবিষ্কৃত হল। এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব কেরলের ইরিনজালাকুডার ক্রাইস্ট কলেজের সেন্টার ফর অ্যানিমাল ট্যাক্সোনমি অ্যান্ড ইকোলজির গবেষকদের। এই প্রজাতিগুলো খুঁজে পাওয়া গেছে মেঘালয়ের গারো পাহাড়, রাজস্থানের মরুভূমি, ওয়েইনাড় অভয়ারণ্য, কোট্টাপ্পারা পাহাড় থুম্বুরমুঝি প্রজাপতি বাগান এবং কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এই তথ্য দিয়েছেন ক্রাইস্ট কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান সুধীকুমার এ ভি। এই আবিষ্কারে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। দলের অন্যান্য সদস্যেরা হলেন হৃষিকেশ বালকৃষ্ণ ত্রিপাঠী, সুধীন পি পি, শিল্পা কে আর, অমূল্য বাজি। এঁরা প্রত্যেকেই ক্রাইস্ট কলেজের রিসার্চ স্কলার।
আরও পড়ুন: Antiquities Repatriated: ভারত থেকে চুরি ও পাচার হওয়া ৩০৭টি শিল্পসামগ্রী ফিরিয়ে দিল আমেরিকা
মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে অনুসন্ধান চালিয়ে সিয়ামস্পিনোপস জেনাসের নতুন প্রজাতি সিয়ামস্পিনোপস গারোয়েনসিস আবিষ্কার করা। চ্যাপ্টা হলুদাভ বাদামি রঙের এই মাকড়সার দৈর্ঘ্য ১০ মিমি মতো। চোখের জায়গায় কালো গোল দাগ আছে এবং পেটের কাছেও কালো ছোপ। এগুলি পাহাড়ে পাথরের খাঁজে খাঁজে বাস করে।
‘জাম্পিং স্পাইডার’ প্রজাতির মধ্যেও দুটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। তার একটি থর মরুভূমি এবং অন্যটি ওয়েইনাড়ের কুরিচিয়াড় অরণ্যে পাওয়া গেছে। থরের প্রজাতিটির বিজ্ঞানসম্মত নাম আফ্রাফ্লাসিল্লা মিয়াজলরেনসিস। এটির কালো মাথায় সাদা সাদা সূক্ষ্ণ চুল রয়েছে। পেটের কাছে কালো রেখা। শুকনো পাতায় থাকতে পছন্দ করে এই মাকড়সাগুলো। ওয়েইনাড়ের প্রজাতির বিজ্ঞানসম্মত নাম আরাফ্রাসিল্লা কুরিচিয়াডেনসিস। এটির চোখের পাশে লাল দাগ এবং পেটে সাদা সাদা চুল রয়েছে। কুরিয়াচিয়াড়ের আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্যে পাওয়া যায় এদের।
এরপরের প্রজাতিটির কোনও বিষগ্রন্থি নেই। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়েছে ফিনোপোনেলা রসট্রালিস। পাতার নীচে বিশেষ ধরনের জাল বুনতে পারে এই মাকড়সাগুলি। এছাড়াও আবিষ্কৃত হয়েছে ‘স্পিনি-লেগড’ পরিবারের দুটি নতুন প্রজাতি। থুম্বুরমুঝি প্রজাপতি বাগান থেকে খুঁজে পাওয়া প্রজাতিটির নাম ওক্সিয়োপস পিথাম এবং কালিকট ক্যাম্পাসে পাওয়া প্রজাতির নাম ওক্সিয়োপস থুম্বুরমুঝেনিস। নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের রিপোর্ট বিদেশের বেশ কয়েকটি নামী গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।