মাত্র নয় বছরে কিলিমাঞ্জারো শৃঙ্গ (Mount Kilimanjaro) জয় করে নজির গড়েছে হায়দরাবাদের বিরাট চন্দ্র তেলুকুন্তা (Virat Chandra Telukunta)। তার স্বীকৃতি স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাকে রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার (Rashtriya Bal Puraskar) দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরাটকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি টুইটে জানান, এত কম বয়সে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করেছে বিরাট। তার ভবিষ্যত প্রচেষ্টার জন্য শুভ কামনা জানান তিনি।
কিলিমাঞ্জারো শৃঙ্গে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিল বিরাট। বিরাট জানিয়েছে, সে প্রতিদিন সকালে ৬-৭ কিমি দৌড়াতো। তারপর সিট-আপ এবং শেষে সূর্যপ্রণাম। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, আবহাওয়ায় যেমনই থাকুক না কেন, তাকে তার রোজের অনুশীলন চালিয়ে যেতে হয়েছে।
Many congratulations to the young mountaineer Telukunta Virat Chandra for the Rashtriya Bal Puraskar. He climbed Mt. Kilimanjaro at such a young age! May he achieve even greater heights. Best wishes for his future endeavours. pic.twitter.com/7ZB83EyRXn
— Narendra Modi (@narendramodi) January 24, 2022
কিলিমাঞ্জারো পর্বতে ওঠার সময় প্রচন্ড ঠাণ্ডার কারণে বিরাটের হাতে পায়ে ব্যাথা হয়ে যায়। কিন্তু এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তার একমাত্র লক্ষ্যবস্তু কিলিমাঞ্জারো শৃঙ্গ জয় করেছে সে। নিজের ভবিষ্যত অভিযান সম্পর্কে বিরাট জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সামিটে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে তার। সেই সঙ্গে সীমান্তের বাধা-নিষেধ শিথিল হলে তার মাউন্ট কোসিয়াসকোতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সে। বিরাটের বাবা শরৎ জানান, ছেলের এই পর্বতারোহণের কথা জানতে পেরে প্রথমে তাঁরা খুব ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু পর্বত আরোহণের প্রশিক্ষণের জন্য একজন ভাল শিক্ষক পায় বিরাট। পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ এবং বিরাটের আত্মবিশ্বাস দেখে তার বাবা-মা বিরাটকে পর্বতারোহণের সম্মতি দেন।
কিলিমাঞ্জারো পর্বতারোহণের সময় বিরাটের সঙ্গে যেতে চেয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। বিরাটের বেস ক্যাম্পে ফিরে আসায় খবর পেয়ে প্রথমে তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে ফিরে বিরাট তার মা’কে জানায় যে, সে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সফল হয়েছে। এত কম বয়সে বিরাট তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে দেখে তার মা মাধবী জানান, এত অল্প বয়সে পর্বতারোহণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু তাঁর ছেলে এই কাজে সফল হয়েছে। তাই তিনি চান সমস্ত বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দিন, যাতে তারা তাদের লক্ষ্যে সফল হতে পারে।