নয়াদিল্লি: সঙ্গিনীর সঙ্গে রোজ ঝগড়া করলেও তাকে কি ভুলতে পারত না আফতাব (Aftab Ameen Poonawala)! তাই কি সে রোজ ফ্রিজ খুলে একবার শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) কাটা মুণ্ডটা দেখত? বান্ধবীকে খুন করে তার দেহ ৩৫ টুকরো করেও শ্রদ্ধার নিথর মুণ্ডটার দিকে চেয়ে থাকত সাইকো-কিলার আফতাব, পুলিশি তদন্তে এরকমই রোমকূপে শিহরণ জাগানো তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ (Delhi Police) আরও জানিয়েছে, মুম্বই থেকে দিল্লি আসার পর আফতাব একটি কল সেন্টারে কাজ নিয়েছিল। কিছুদিন সে ফুড ব্লগারও ছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, খুনের পর আফতাব গুগল ঘেঁটে মেঝে থেকে রক্তের দাগ মুছেছিল। তার জন্য সে বাজার থেকে কয়েকটি রাসায়নিকও কিনেছিল। রক্তমাখা জামাকাপড়ও নষ্ট করে দিয়েছিল সে। খুনের পর প্রথমে দেহটি বাথরুমে লুকিয়ে রেখেছিল। তারপর দোকান থেকে একটি ফ্রিজ কিনে আনে সে। দেহ টুকরো করার পর সে ফ্রিজও ওই রাসায়নিক দিয়ে পরিষ্কার করে। যে ঘরে বান্ধবীর দেহ টুকরো টুকরো করে, সেই ঘরেই ঘুমোত আফতাব। রোজ অন্তত একবার করে শ্রদ্ধার মুখ দেখত সে।
আফতাবের সোশাল মিডিয়া থেকে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে তার প্রোফাইলে কোনও অ্যাক্টিভিটি ছিল না। ইনস্টাগ্রামে তার ২৮ হাজার ফলোয়ার পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও শ্রদ্ধা ও আফতাব একই কল সেন্টারে কাজ করত। পুলিশের কাছে আফতাব স্বীকার করেছে, কাজ থেকে সে ৬-৭টার মধ্যে ফিরে আসত। তারপর ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার দেহাংশ নিয়ে কালো ফয়েলে ঢোকাত। কিন্তু, ফয়েল সুদ্ধ না ফেলে জঙ্গলে শুধু দেহাংশটুকু ফেলে আসত আফতাব।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধার আগেও আফতাবের অনেক মেয়ে-বন্ধু ছিল। খুনের আগে সে ভূরিভূরি ক্রাইম সিনেমা, ওয়েব সিরিজ এবং আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ডেক্সটার দেখে ফন্দি ফেঁদেছিল। খুনের কারণ হিসেবে আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। যা নিয়ে প্রায় রোজই তাদের মধ্যে ঝামেলা বাধত।