Sunday, June 29, 2025
Homeদেশচিতায় পুড়ে ছাই কোটি কোটি টাকার মাদক, ‘মুখাগ্নি’ মুখ্যমন্ত্রীর

চিতায় পুড়ে ছাই কোটি কোটি টাকার মাদক, ‘মুখাগ্নি’ মুখ্যমন্ত্রীর

Follow Us :

গুয়াহাটি: জ্বলছে চিতা৷ তবে লাশের বদলে চিতায় পুড়ল মাদক৷ ‘মুখাগ্নি’ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে অসম পুলিশ৷ বাজেয়াপ্ত হয়েছে কোটি কোটি টাকার ড্রাগ৷ প্রকাশ্যে সেই ড্রাগ পোড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষমতায় আসার পর তিনি মাদকের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছেন৷ জানিয়েছেন, তাঁর দু’মাসের সরকারের আমলে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদক প্রকাশ্যে পোড়ানো হবে৷

আরও পড়ুন: শরদ-মোদির ৫০ মিনিটের বৈঠক নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে

মাদক পোড়ানোর জন্য চারটি জায়গা বেছে নেওয়া হয়৷ আজ শনিবার দিফু এবং গোলাঘাটে এই কর্মসূচি চলে৷ আগামিকাল রবিবার নাগাঁও এবং হোজাইয়ে জ্বলবে মাদকের চিতা৷ এদিন গোলাঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত দু’মাসে ১৬৩ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে অসম পুলিশ৷ যা রাজ্যে মাদক কারবারের মাত্র ২০ শতাংশ৷ এর মানে অসমে ২-৩ হাজার কোটি টাকার মাদকের বাজার রয়েছে৷ আজ গোলাঘাটে ৮০২ গ্রাম হেরোইন নষ্ট করা হয়েছে৷ এর বাজারমূল্য ২০ কোটি টাকা৷’ এছাড়া ক্রিস্টাল মেথ, মরফিন ক্যানাবিস, ট্যাবলেটও পোড়ানো হয়৷

অসম পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েকমাসে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১৮.৮২ কেজি হেরোইন, ৭৯৪৪.৭২ কেজি ক্যানাবিস, ৬৭ হাজার ৩৭১ বোতল সিরাপ, ১২ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৯৪ নেশাসক্ত ট্যাবলেট, ১.৯৩ কেজি মরফিন এবং ৩ হাজার ৩১৩ কেজি ওপিয়াম উদ্ধার হয়েছে৷ এই মাদক আসে মায়ানমার থেকে৷ সীমান্ত থেকে পাচারকারীরা মাদক নিয়ে নাগাল্যান্ডে ঢোকে৷ তার পর উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে মাদক৷

আরও পড়ুন: নিশীথ প্রামাণিক কি ‘বাংলাদেশি’? কংগ্রেস সাংসদের চিঠিকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পাচারকারীরা অসমকে ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে৷ এই রাজ্য থেকেই মাদক ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ অসমের মাদকের জাল কতটা বিস্তৃত তা বোঝা যায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে৷ হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় বসার পর ৮৭৪টি কেস দায়ের করা হয়েছে৷ ১৪৯৩ জন ড্রাগ ডিলার ধরা পড়েছে৷ উদ্ধার হয়েছে ১৬৩ কোটির মাদক৷

RELATED ARTICLES

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39