কলকাতা: তাঁর ধর্মীয় প্রবচন অনুষ্ঠানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২১ জনের। হাথরসের সেই ঘটনায় ছ’-সাতজন গ্রেফতার হলেও অন্তরালে রয়েছেন স্বয়ং নারায়ণ সাকার হরি (Narayan Sakar Hari) ওরফে সূরয পাল সিং (Suraj Pal Singh) ওরফে ভোলেবাবা (Bholebaba)। আড়াল থেকেই নানারকম বক্তব্য পেশ করছেন তিনি, এবার একেবারে প্রবচন ঝেড়ে বসলেন। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যু অমোঘ, তাকে এড়ানো যায় না।
নতুন করে ভোলেবাবা বললেন, “২ জুলাইয়ের ঘটনার পর আমরা গভীর অবসাদে আছি। অবসাদে ভুগছি আমরা। কিন্তু ভবিতব্যকে কে এড়াতে পারে? যে এসেছে তাকে একদিন যেতেই হবে, আগে হোক কিংবা পরে।”
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র পুলিশের কমান্ডোদের সঙ্গে মাওবাদী সংঘর্ষ, নিহত ১২
প্রসঙ্গত, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (UP Police) এফআইআর-এ নামই নেই ভোলেবাবার। তা সত্ত্বেও তিনি গা ঢাকা দিয়ে আছেন। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মন্তব্য পেশ করছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) উপর তাঁর ভরসা আছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন ভোলেবাবা।
কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সংগঠনের কেউ মৃত বা আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখাই করেনি, সাহায্য তো দূরের কথা। একমাত্র প্রশাসন এগিয়ে এসেছে, সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গ।
এদিকে প্রথম থেকেই দুর্ঘটনার দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে গিয়েছেন ভোলেবাবা। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন, হুড়োহুড়ি শুরু হওয়ার আগেই তিনি সমাবেশ স্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করে তিনি বলেন, কিছু অজ্ঞাতপরিচয় লোক ভিড়ের মধ্যে বিষাক্ত তরল স্প্রে করায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এবার ‘জন্মিলে মরিতে হবে’ প্রবচন আওড়ালেন সূরয পাল সিং।
দেখুন অন্য খবর: