উত্তরপ্রদেশ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি সরকারি স্কুলের হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের মৃতদেহ। হস্টেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার ওই ছেলেটিকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তারপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন এবং দেহটি ময়নাতদন্তের (Postmortem) জন্য পাঠানো হয়।
শিক্ষা দফতরের যুগ্ম ডিরেক্টর পিকে ত্রিপাঠী বলেন, ছেলেটি ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি গিয়েছিল। ১০ জানুয়ারি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু সে ফেরে ১৩ ফেব্রুয়ারি। তার দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানায়নি সে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুনJoshimath Sinking: নতুন করে ফাটল জোশীমঠে, উদ্বেগ চারধাম যাত্রায়
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই অনুমান করেছে। ১৪ বছর বয়সি এক ছাত্র কেন আত্মহত্যা করল, নেপথ্যে কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও হস্টেলে ফিরে আসার পর তার আচরণে কোনও পরিবর্তন হয়েছিল কি না, বা বাড়িতে থাকাকালীন তার অভিভাবকদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে মনোবিদদের মতে, শিশুদের মধ্যে সহনশীলতার মাত্রা এখন সর্বনিম্ন। ছাত্রজীবনের বয়ঃসন্ধি কালে তারা মোবাইল, ঘড়ি বা দামি জিনিসপত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ে। এরপর বন্ধুমহলে সেসব জিনিস নিয়ে দেখনদারি, মান অপমানের পালা শুরু হয়। এর উপর আবার পড়াশোনা নিয়ে শিশুদের উপর অত্যধিক চাপ দেওয়া হয়। যে কারণে শিশুরা তাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তখনই আবেগের বশে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেল।