গুয়াহাটি: মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে নিষিদ্ধ গোহত্যা। সেই সঙ্গে বিক্রি করা যাবে না গোমাংস। এমনই বিল পাস হয়ে গেল অসমের বিধানসভায়। সেই সঙ্গে অন্যত্র গোহত্যার জন্যেও লাগবে প্রশাসনের অনুমতি। এই কড়া আইনের মাধ্যমে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষিত হবে বলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
আরও পড়ুন- অতিমারি আইন ভেঙে ত্রিপুরায় প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির, কটাক্ষ তৃণমূলের
গোহত্যা বা গোমাংস নিয়ে বিতর্ক ভারতে নতুন নয়। একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই নিয়ে আইন জারি হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক কম নেই। গত মে মাসে অসমে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তখন থেকেই এই আইন নিয়ে আলোচনা শুরু করে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। শুরুতে মন্দিরের কাছে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা গেলেও প্রকৃত আইন আরও কড়া।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে উদ্ধার বিপুল চীনা অস্ত্র, সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য বাহিনীর
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস পরিচালিত সরকার যে আইন করেছিল সেটাই একটু রদবদল করা হয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যাবে না। মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোহত্যা বা গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সী কাজে অক্ষম পশু জবাই করা যাবে। তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ভেটেরনারি অফিসারের অনুমতি লাগবে।”
আরও পড়ুন- পরকীয়ার জেরে জামাইয়ের হতে খুন শাশুড়ি, চাঞ্চল্য ভাতারে
এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অসমের বিরোধী রাজনৈতিক দল। বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করা হয়। তা খারিজ হয়ে যাওয়াতে বিধানসভা ওয়াক আউট করেন বিরোধী বিধায়কের। তাঁদের দাবি, ‘এই বিলের কারণে অসমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে। গোষ্ঠী সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাবে।’
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, “বিরোধীদের ৩০ দিন সময় দেওয়া দেওয়া হয়েছিল পরামর্শ দেওয়ার জন্য। কেউ কিছুই বলেনি। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে যত সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে তা সবই গোমাংসের কারণে।” এই আইনে সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকবে বলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার করার কর্তব্য শুধুমাত্র হিন্দুদেরই নয়, মুসলমানদেরও এ বিষয়ে সহযোগিতা করা উচিত।”
আরও পড়ুন- আর মাত্র ৫০ কিলোমিটার, কাবুলের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে তালিবান