কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ‘খবর লহরিয়া’। একজন দলিত মহিলার হাতে গড়া সংবাদ সংস্থা। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড থেকে প্রান্তিক, পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বলে ‘খবর লহরিয়া’। একেবারে নিচুতলা থেকে তৃণমূল স্তর থেকে সংগ্রহ করে আনে বিপন্ন মানুষের টিকে থাকার লড়াই। সেই ‘খবর লহরিয়া’র সাংবাদিকরা এখন খবরের শিরোনামে।
খবরের শিরোনামে মার্চ মাস থেকেই। ভারত থেকে একটি তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। পাঁচ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রমে যে তথ্যচিত্রের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন ‘খবর লহরিয়া’র সাংবাদিকরা। কীভাবে তাঁরা খবর সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহ করতে কতটা পড়াশোনা করতে হয়, কতটাই বা একবারে মাটিতে পড়ে থেকে খবর তুলে আনতে হয়। কাদের খবর তাঁদের নাড়া দেয়? ‘খবর লহরিয়া’র সেইসব সাংবাদিকদের যাপন নিয়েই তৈরি হয় তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’। কিন্তু সেই তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় অংশ নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক বাঁধে।
অস্কার মনোনীত তথ্যচিত্র থেকে দলিত সাংবাদিকরা নিজেদের সরিয়ে নেন। দূরত্ব তৈরি করেন। তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় অংশে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি’র রাজনীতিকে, দলের কাজকে, মিছিলকে যেভাবে বিপুল সময় ধরে দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে সহমত হতে পারেননি সাংবাদিকরা। তাঁদের অভিযোগ, জল-জঙ্গল-জমির রাজনীতি নিয়ে তাঁদের যে নিরলস পরিশ্রম, তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ তথ্যচিত্রে।
তথ্যচিত্রের নির্মাতারা ঘটনাচক্রে সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। রিন্টু থমাস ও সুস্মিত ঘোষ। বলেছিলেন, তথ্যচিত্রের কুশীলবরা প্রত্যেকে শাড়িও পছন্দ করে ফেলেছেন। অস্কারের মঞ্চে ভারতীয় নারীদের শাড়িতেই দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস-এর রেড-কার্পেটে রিন্টু এবং সুস্মিত ছাড়া কাউকেই দেখতে পাওয়া যায়নি।
https://caravanmagazine.in/film/controversy-writing-with-fire
আসলে তার আগেই এক বিবৃতিতে ‘খবর লহরিয়া’ জানিয়ে দেয় যে বিতর্ক কোথায়। একটি মাত্র রাজনৈতিক দল বিজেপি’র কাজকে তথ্যচিত্রে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে দেখানো হয়েছে, সেই বক্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করে খবর লহরিয়া। এই তথ্যচিত্রে তাঁদের সাংবাদিকতা নিয়ে ভুল বার্তা দর্শকদের কাছে যাবে বলে বিবৃতিতে জানায়। তথ্যচিত্রে জল-জঙ্গল-জমির রাজনীতির একটা সামান্য অংশই তুলে ধরা হয়েছে বলে জানায় ‘খবর লহরিয়া। বাকি যা দেখানো হয়েছে তা বিকৃত অর্ধসত্য।