Jagadish Shettar| গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটা সিস্টেমে চলে, সবাইকে তা মানতে হবে: বোম্মাই

বেঙ্গালুরু:  বেশ কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার (Jagadish Shettar)। বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে বাদ পড়ার অপমান সহ্য করতে না পেরেই কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছেন, এমনটাই দাবি তাঁর। আগামী ১০ মে কর্নাটকে (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) রয়েছে। তার আগে প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। হেভিওয়েট নেতাদের অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে প্রার্থী তালিকা সামনে আসার পর। এরই মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে ছাড়ছেন অনেকেই। টিকিট না পাওয়াদের নামের তালিকাতে অন্যতম নাম জগদীশ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেছিলেন, বিজেপিতে আর কোনও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতি নেই৷ জগদীশের অভিযোগ অস্বীকার করে বোম্মাই বলেছেন, দলের হাইকমান্ড টিকিট বিলিতে কিছু নীতি অনুসরণ করছে। তাঁর জন্যই অনেকেই টিকিট পাননি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।

কংগ্রেসে যোগদানের পর জগদীশের বক্তব্য ছিল, ” আমি একজন সিনিয়র নেতা হিসেবে ভেবেছিলাম, বিজেপি আমাকে টিকিট দেবে, কিন্তু যখন আমি জানলাম যে আমি টিকিট পাচ্ছি না, তখন আমি হতবাক হয়ে পড়ি।” দলত্যাগ প্রসঙ্গে তাঁর ছিল, ” নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ার বিষয়ে কেউ আমার সঙ্গে আলোচনা করেননি। আমিই এই দলকে গড়ে তুলেছি। কিন্তু দলের কিছু নেতা আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। দল আমাকে অপমান করেছে। তারা বুঝতে পারছে না, কে জগদীশ শেট্টার। আমাকে একপ্রকার জোর করে বহিষ্কার করা হল। এখন আমি কংগ্রেসের আদর্শ ও নীতি মেনেই দলে যোগ দিচ্ছি।”

আরও পড়ুন:Partha Chattapadhyay | প্রভাবশালী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলেও আংটি পরেন, প্রশ্ন তুললেন ইডির আইনজীবী 

মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) এই প্রসঙ্গে বলেন, “দলের হাইকমান্ড টিকিট বিলির ক্ষেত্রে কিছু নীতি অনুসরণ করছে। সেখানে সিস্টেম রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটা সিস্টেমে চলে। সেটা দলের সবাইকে মেনে চলতে হবে। আমাদের শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন  গণতান্ত্রিক নেতা। তিনিও একই কথা বলেন, সেটা মেনেও চলেন।”
বিজেপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কর্নাটক বিধান পরিষদের সদস্য লক্ষ্মণ সাভাদি টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছেন। টিকিট না পাওয়ায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁকে বোঝাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সহ অনেকেই কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে  ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসের হাত ধরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

জগদীশের মতোই সদ্য প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “আত্মসম্মান বজায় রাখতেই দল পরিবর্তন করেছি। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত  নেওয়ার আগে আমাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি। গত তিন বছরে, আমাকে বিজেপিতে পাঁচ মিনিটের জন্যও কথা বলতে দেওয়া হয়নি”।
যদিও বোম্মাই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের হাইকমান্ড টিকিট বিলির ক্ষেত্রে কিছু নীতি অনুসরণ করছে। কর্নাটকের লিঙ্গায়েতরা সতর্ক বলেই তারা বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেস লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এখন তাদের জন্য ভালবাসা দেখাচ্ছে। এটা সুযোগ-সন্ধানী নীতি ছাড়া আর কিছু নয়।