কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডায় লাইনচ্যুত ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস (Dibrugarh Express Accident)। ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা লাইনচ্যুত। মতিগঞ্জ থেকে ঝিলাহি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ২.৩০ টায় সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেলাইন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, ৪জনের মৃত্যু, আহত ২৫। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। রেল সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে ২টি ট্রেন। ১১টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে ৪০ জনের একটি মেডিক্যাল টিম। যুদ্ধকালীনন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন (Railways helpline) চালু করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির চারটি এসি কোচের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুটি বগি সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। লাইনে কিছু পড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুরু হয়েছে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ। আটকে পড়া যাত্রীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জনযাত্রীকে উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারি কর্তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডায় লাইনচ্যুত ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস
Another train mishap….Dibrugarh Express (going from Chandigarh to Dibrugarh) somewhere between Gonda and Basti in Uttar Pradesh… pic.twitter.com/T4yiiH8FZ3
— NIVEDITA SINGH (@niveditasingh__) July 18, 2024
রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। লখনউ – ৮৯৫৭৪০৯২৯২ গোন্ডা – ৮৯৫৭৪০০৯৬৫ বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ: ৯৯৫৭৫৫৫৯৮৪ ফুরকেটিং : ৯৯৫৭৫৫৫৯৬৬ মারিয়ানি : ৬০০১৮৮২৫১০ সিমালগুড়ি : ৮৭৮৯৫৪৩৭৯৮ তিনসুকিয়া : ৯৯৫৭৫৫৫৯৫৯ ডিব্রুগড় : ৯৯৫৭৫৫৫৯৬০ গুয়াহাটি স্টেশনের জন্য তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল ০৩৬১২৭৩১৬২১, ০৩৬১২৭৩১৬২২, ০৩৬১২৭৩১৬২৩। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছু ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জুন মাসের পর জুলাই মাসে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ১৭ জুন ফাঁসিদেওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর ফের ১৮ জুলাই ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। বারবার দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেল। অভিযোগ, একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রতিদিন দেশের একপ্রান্ত অন্য প্রান্তে হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত। তার উপর উপযুক্ত সংখ্যক কর্মীর অভাবে রেলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। রেলের শূন্যপদ থাকলেও দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে যন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলের উদাসীনতা স্পষ্ট। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুপষকে।
দেখুন ভিডিও