সিমলা: ভারী বৃষ্টি এবং হরপা বানে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। একের পর এক জায়গা থেকে আসছে ভূমি ধসের খবর। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ধসের জেরে হিমাচল প্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরাখণ্ডে মারা গিয়েছেন তিন জন। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি, রাস্তা। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সিমলার (Shimla) আস্ত একটি শিব মন্দির। সেই মন্দির চাপা পড়ে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, “মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, হান্ডিগড়-শিমলা ৪ লেনের হাইওয়ে সহ অন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা খোলা হয়েছে। এই সংকটের সময় পর্যটকদের ওই রাজ্যে না যাওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
শিমলা, সম্বল, পান্ডোহর পরিস্থিত ভয়াবহ। মান্ডি জেলায় সাতজন সোমবার হড়পায় ভেসে গিয়েছেন। ভূমিধসের ফলে রাজ্যে ৭৫২টি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিমলার। এখানেই তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে একটি শিব মন্দির। আর সেই মন্দির চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা সকলেই শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে ওই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে, পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এছাড়াও, উত্তরাখণ্ডেও দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকায় আজও উদ্ধারকাজ চলছে। বন্ধ বহু রাস্তা। ঝুঁকি এড়াতে স্থগিত করা হয়েছে চারধাম যাত্রাও।