জয়পুর: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Vote 2024) জিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে অবিলম্বে চালু হবে মহিলা সংরক্ষণ (Women’s Reservation)। রাজস্থানের (Rajasthan) মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের (Congress)। শনিবার মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখছেও না। ইন্ডিয়া (India) বনাম ভারত (Bharat) বিতর্ক থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোই এই বিলের উদ্দেশ্য। শনিবার ভোটমুখী রাজস্থানের জয়পুরে এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, আমাদের দল এই বিলকে সমর্থন করে। কিন্তু আমরা চাই অবিলম্বে এটা কার্যকর হোক। এর জন্য নতুন জনগণনা কিংবা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন কী, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে যা বলেছিলেন, তারই পুনরাবৃত্তি করে এদিন বলেন, সত্যকারের সংরক্ষণ চাইলে এর মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকেও যুক্ত করা দাবি তুলেছিলাম আমরা। আমরা চাই মুসলিম সহ পিছিয়ে পড়া মহিলারাও সংরক্ষণের অধিকার অর্জন করুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাহুলের আরও অভিযোগ, ওরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল অন্য উদ্দেশ্যে। ইন্ডিয়া বনাম ভারত ইস্যুকে তুলে ধরা ওদের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু, যখন দেখল এই কর্মসূচি মানুষের কাছে বেচা যাবে না, তখন ওরা মহিলা সংরক্ষণ বিলে পালটি খেল। বিজেপি চাইছে সংরক্ষণের বিষয়টি ১০ বছর পিছিয়ে দিতে। আর ভোটের আগে মহিলাদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করা।
উল্লেখ্য, এ বছরের শেষাশেষি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজস্থানে হবে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং কংগ্রেস তেড়েফুঁড়ে প্রচার শুরু করেছে। এদিন জয়পুরে কংগ্রেস কর্মীদের সামনে এক অনুষ্ঠানে দল বেশ কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। তার মধ্যে মহিলা সংরক্ষণ চালু করাও রয়েছে। রাহুল এদিন ঝড়ের গতিতে মোদি বিরোধী হাওয়া তোলেন দলের কর্মীদের মনে। বলেন, মোদি যদি সত্যিই ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণ চান, তাহলে কেন ভয় পাচ্ছেন? কেন জাতিগত জনগণনা হচ্ছে না! ওরা আদানিকে ভয় পাচ্ছে। বিজেপির লোকেরা প্রচারে এলে জানতে চাইবেন, কেন জাতি-জনগণনা হচ্ছে না?
আরও পড়ুন: বারাণসীতে শিবের নামে উৎসর্গ করে স্টেডিয়ামের শিলান্যাস, ভোটের ম্যারাথন দৌড় শুরু করলেন মোদি
দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, ২০২৪ সালে কংগ্রস ক্ষমতায় এলে তৎক্ষণাৎ চালু হবে মহিলা সংরক্ষণ। আদিবাসী বলেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা রাষ্ট্রপতি পদের প্রতি অবমাননা। শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে রাখা হয়নি। কারণ সমাজের চোখে তিনি ছিলেন অস্পৃশ্য। কোথাও অস্পৃশ্য এলে সেই জায়গাকে গঙ্গাজলে ধোয় যারা, তারা আবার দলিত এবং আদিবাসীদের উন্নয়নের কথা ভাববে।
ইংরেজি-হিন্দি বিতর্কের কথা উল্লেখ করে বিজেপিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। বলেন, ওদের নেতাদের ঘরের ছেলেরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে। আর ওরা চায়, গরিব মানুষের ছেলেমেয়েরা যাতে ইংরেজি না শিখতে পারে। ওরা ভারতের ভিতরে দুটো পৃথক ভারত গড়তে চায়। দলের কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ জোগাতে রাহুলের ভোকাল টনিক, জঙ্গলে সিংহের দেখা মিললে হাজার চোখ তাকে খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু, আজ আমার সামনে হাজার হাজার সিংহ বসে আছে।