skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeদেশAFSPA Modi: উন্নয়ন-শান্তি প্রতিষ্ঠা করেই উত্তর-পূর্বে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি, বললেন মোদি

AFSPA Modi: উন্নয়ন-শান্তি প্রতিষ্ঠা করেই উত্তর-পূর্বে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি, বললেন মোদি

Follow Us :

গুয়াহাটি: মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন এলাকা থেকে আফস্পা করা হয়েছে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্যই আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার অসমের একটি কর্মসূচিতে ভাষণ দেওয়ার সময় একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘গত ৮ বছরে উত্তর-পূর্বে অনেক জায়গা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি। এটা আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও সার্বিক উন্নয়নকেই ইঙ্গিত করছে।’

মোদি বলেন, ‘আজ ডবল ইঞ্জিন সরকার ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ মন্ত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজাদি কা অমৃতমহোৎসব উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভারতের প্রতিটি জেলায় অমৃত সরোবর নির্মাণের প্রকল্প শুরু করছি। এগুলো ‘সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস’-এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে। গত বছর, কার্বি আংলং থেকে বেশ কয়েকটি সংগঠন শান্তি ও উন্নয়নের সংকল্পে যোগ দিয়েছে।’

আফস্পা কী? কী বলা আছে এই আইনে?

দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট সংক্ষেপে আফস্পা৷ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি দমনে সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে এই আইন চালু করে কেন্দ্র৷ অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমে চালু আছে৷ স্বাধীনতার এত বছর পরও এই আইন চালুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠেছে৷ উত্তর-পূর্বের বহু মানুষের চোখে আফস্পা হল ‘কালা আইন’৷ জম্মু কাশ্মীরেও আফস্পা চালু রয়েছে।

আরও পড়ুনIndian Citizenship: মোদি জমানায় দেশ ছেড়েছেন প্রায় ৯ লক্ষ ভারতীয়, টুইটে তোপ কংগ্রেসের

উত্তর-পূর্বের মানুষদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, আইনের অপপ্রয়োগ করে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের উপরই দমন পীড়ন চালায়৷ এই আইনে বলা আছে, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন কোনও ব্যক্তিকে স্রেফ সন্দেহের বশে সেনাবাহিনী গ্রেফতার এবং গুলি করতে পারবে৷ বিনা ওয়ারেন্টে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি চালার অধিকারও দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে৷ সন্দেহজনক গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় তল্লাশি করতে পারবে৷ সর্বোপরি এই আইন সেনাবাহিনীকে রক্ষাকবচ দেয়৷ অভিযুক্ত কোনও সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কোনও ধারা এই আফস্পায় নেই৷ ‘ড্র্যাকোনিয়ান’ সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন চালিয়েছিলেন শর্মিলা চানু৷

RELATED ARTICLES

Most Popular