নয়াদিল্লি: ফের বিজেপিকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। বৃহস্পতিবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাবে (Parliament Speech) অংশ নেবেন মহুয়া। তার আগেই এদিন সকালে টুইটে মহুয়া বলেন, ‘আজ লোকসভায় আমি এমন কিছু বলব, যা বিজেপি (BJP) সদস্যদের পছন্দ হবে না। বিজেপির হল্লা টিম যেন প্রস্তুত থাকে। দরকার হলে তারা গোমূত্রও খেয়ে নিতে পারে।’
ইতিমধ্যেই লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বাগ্মিতা যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। গত বছরও তিনি ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম, নেটদুনিয়া এবং রাজনৈতিক মহলে তাঁর ওই ভাষণ ব্যাপক প্রশংসাও পায়। মহুয়ার এই টুইটের পর বৃহস্পতিবার বেলায় সংসদে তিনি কোন ভাষায় বিজেপিক কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
Am speaking this evening in Lok Sabha on President’s Address.
Just wanted to give early heads up to @BJP to get heckler team ready & read up on imaginary points of order. Drink some gaumutra shots too.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) February 3, 2022
বুধবার আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদে রীতিমতো ঝড় তোলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পেগাসাস থেকে শুরু করে ভারতের বিদেশনীতি, বেরোজগারির মতো বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেন রাহুল। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজা বলে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, ‘এই রাজা কারও কথা শুনতে পছন্দ করেন না। কংগ্রেস ১৯৪৭ সালে রাজার শাসনের ধারণাকেই নির্মূল করে দিয়েছিল। এখন নরেন্দ্র মোদির আমলে সেই রাজার শাসন ফিরে এসেছে।’
আরও পড়ুন: AITC Parliament: হু-এর মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর পাকিস্তান এবং চীনের অংশ, সংসদে সরব শান্তনু
রাহুল চিন ও পাকিস্তান নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করান খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান বিদেশনীতিতে এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে কাছাকাছি আনার প্রচেষ্টা রয়েছে, যা আগামী দিনে বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
রাহুলের এই ঝাঁঝালো বক্তৃতার পর মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসও। বোঝাই যাচ্ছে, রাহুলের ভাষণ নাড়া দিয়েছে সরকারকে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তৃণমূলের এই দাপুটে সাংসদ মহুয়া টুইটে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সংসদে বক্তৃতায় তিনিও ঝড় তুলতে চলেছেন। টুইটে তাঁর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত, ভাষণে তিনি এমন কিছু বলবেন, এমন প্রশ্ন তুলবেন যাতে ট্রেজারি বেঞ্চ চুপচাপ বসে থাকতে পারবে না। বিজেপির সদস্যদের চেঁচামেচি করতেই হবে।